অনন্যা অর্পিতা। চট্টবাংলা বিনোদন ডেস্ক -ঃ
অপি করিম। পারিবারিক নাম সৈয়দা তুহিন আরা অপি করিম। তিনি একাধারে মডেল, নাটক ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। আজ তাঁর ৪১তম জন্মদিন। তিনি ১৯৭৯ সালের ১ মে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৯৯ সালে লাক্স ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় ‘মিস ফটোজেনিক’ খেতাব অর্জনের মধ্যদিয়ে মিডিয়ায় তাঁর পথচলা শুরু। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একাধারে তিনি করে গেছেন নাটক, টেলিফিল্ম, উপস্থাপনা, সিনেমা, মঞ্চ, বিজ্ঞাপন, নাচ আবার পড়াশোনা। সব ক্ষেত্রেই তার দ্যুতি ছড়ানো প্রতিভা।
তিনি টেলিভিশন নাটক ছাড়াও অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রে। বুয়েট থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন কারার পর কাজ করছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর আর্কিটেকচারের একজন অনুষদ সদস্য হিসেবে।
তিনি জার্মানি থেকে উচ্চতর ডিগ্রী শেষ করার পর ২০১১ সালে নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বলকে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস শুরু করেন এবং নিয়মিত অভিনয় করেন রেদয়ান রনি’র পরিচালনায় মেগা সিরিয়াল ‘হাউসফুল’ এ।
আবার ২০১৩ সালে অভিনয় কমিয়ে দেন তিনি। তবে কলকাতার বিজ্ঞাপন নির্মাতা সৌনকের পরিচালনায় কোহিনূর ক্যামিক্যাল বাংলাদেশের “তিব্বত ডিটারজেন্ট পাউডার” এর বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়।
পাশাপাশি বাংলাভিশনে জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ’র “আমাদের জাদুকর” অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন। এছাড়াও উপস্থাপিকার ভুমিকায় কাজ করেছেন চ্যানেল নাইনের “অপি’স গ্লোয়িং চেয়ার” অনুষ্ঠানের প্রথম ও দ্বিতীয় মৌসুমে।
২০১৫ সালে সাগর জাহান রচিত ঈদের নাটক “এ শহর মাধবীলতার না’র” জন্য কণ্ঠ দেন। ‘ধুলোপড়া সময়’ শিরোনামের এই গানটির সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মুন্তাসির তুষার। এছাড়াও শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন পেপসিকোর ব্র্যান্ডের কুড়কুড়ে স্ন্যাকসের।
২০০৪ সালে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর হাত ধরে চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে। “ব্যাচেলর” চলচ্চিত্রে সাথী চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের দারুণ প্রসংশা কুঁড়ান তিনি।
এছাড়া একে একে অভিনয় করেন-শুকতারা, আপনজন, সবুজগ্রাম, তিতির সুখ,অক্ষয় কোম্পানির জুতো, ছায়াচোখ, জলছাপ , সাদাআলো সাদাকালো, ছায়াফেরী, যে জীবন ফড়িংয়ের, থতমত এই শহরে, উত্তম-সুচিত্রা, মান- অভিমান, বাংলাদেশ, কেমন আছো, এ শহর মাধবীলতার না, ভূতের ভয়, হঠাৎ প্রিয়তমা, অবাক ভালোবাসাসহ অসংখ্য নাটকে।
মাত্র দুই দশকের অভিনয় জীবনে নিজের সাফল্যের ঝুড়িতে জমা করেন-২০০৩, ২০০৫ ও ২০০৭ সালে মেরিল প্রথম আলো আর ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার।