চট্টবাংলা ডট কম। রকমারি ডেস্কঃ- একটি প্রাণীকে তাড়া করতে গিয়ে স্টাকি নামের শিকারী কুকুরটি ২০ বছর ধরে একটি ফাঁকা গাছের ভেতরে আটকে গিয়ে মমি হয়ে যায়! গাছ কাটতেই বেরিয়ে এল ‘মমি’ কুকুর!
শিকার ধরতে গিয়ে ওক গাছের ফাঁপা মোটা কাণ্ডের ভিতর ঢুকে পড়ে এই কুকুরটি। কাণ্ডের দেওয়াল আঁকড়ে অনেকটা উপরে ওঠার চেষ্টা করে সে। কিন্তু কাণ্ডটি সুরু হয়ে যাওয়ায় হঠাত্ তার শরীরটা আটক যায়। ততক্ষণে মুখের সামনে থেকে শিকার পগার পার! কিন্তু ওই কুকুরের কী হল?
শত চেষ্টাতেও সেখান থেকে বেরতে পারেনি ওই কুকুরটি। একদিন যায়…দু’দিন যায়…খিদের জ্বালায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।অবশেষে মৃ্ত্যুই হল পরণতি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেই কুকুরটি এখনও অবিকল সশরীরে রয়েছে! কোনও পচন ধরেনি, মমি হয় গিয়েছে কুকুরটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া স্টেটের একটি জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়ে ওক গাছের ভিতরে এই কুকুরটিকে আবিষ্কার করেন একদল কাঠুরে।ওক গাছের গুঁড়ি কাটার পর দেখা যায় শিকার ধরার ভঙ্গিমায় মমি অবস্থায় রয়েছে কুকুরটি। কিন্তু কীভাবে এই গুঁড়ির ভিতর মমি হল কুকুরটি, সেটাই অবাক করে ওই কাঠুরিয়াদের। গুঁড়ি সুদ্ধ কুকুরের মমিটির জায়গা হয় ওয়েক্রসের সাদার্ন ফরেস্ট ওয়ার্ল্ডের একটি জাদুঘরে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওক গাছের ট্যানিক অ্যাসিড ওই কুকুরকে মমি করতে সাহায্য করেছে। ট্যানিক অ্যাসিড থাকার জন্য সাধারণত ওই গাছে কোনও পোকা থাকে না। পোকা বা জীবাণুর দ্বারা পচনের হাত থেকেও রক্ষা পেয়েছে ওই কুকুরটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় ৫০ বছর আগে। কুড়ি বছর ধরে ওই কুকুরটিকে ‘মমিফায়েড ডগ’ বলে ডাকা হত। তবে, ২০০২ সালে ওই কুকুরটি নতুন নামকরণ করা হয়। নাম দেওয়া হয় ‘স্টাকি’।
তথ্য ও ছবি- ইন্টারনেট অবলম্বনে।