অনন্যা অর্পিতা।
চট্টবাংলা বিনোদন ডেস্ক -ঃ
মহামারি করোনা এবার যেন গলা টিপে ধরেছে বাঙ্গালী সংস্কৃতির। পহেলা বৈশাখ, বিশ্ব নাট্য দিবস, জব্বারের বলি খেলাসহ একে একে পার হয়ে গেলে বাংঙ্গালী সংস্কৃতির সব অনুষদগুলো।হলোনা বর্ষা বরণ আর বসন্ত উৎসবও। সে ধারাবাহিকতায় আজও স্তব্ধ শিল্পকলা অঙ্গণ।
আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস আজ। প্রতিবছর নানা আয়োজনে দিনটি পালিত হলেও এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সারা বিশ্বে প্রতি বছরের ২৯ এপ্রিল নানা উৎসব-আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়। ১৯৯২ সালে দিবসটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব নৃত্য দিবস।
এদিবসকে ঘিরে প্রতিবছর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী নৃত্য উৎসব। সারা দেশব্যাপী বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থা ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বাঙালি সংস্কৃতির এক প্রাচীন শিল্পসত্তা হলো নৃত্য। শত শত বছর ধরে এই অঞ্চলে নৃত্যশিল্প আমাদের সংস্কৃতিকে দান করেছে অনন্য উচ্চতা। নৃত্য শুধু বিনোদনের বিয়ষ নয়। নৃত্য হল মানুষের মনোজাগতিক প্রকাশ ভঙ্গি।
নৃত্যের মাধ্যমে সমাজের সকল ভাল-মন্দকে শিল্পীরা উপস্থাপন করেন। আর এর মধ্যদিয়ে মানুষের অন্তরে গেঁথে থাকে সেই ভাল-মন্দের ঘটনা প্রবাহ ও গল্পগুলো। আমাদের সংস্কৃতির এক অপরিহার্য বিষয় নৃত্যের প্রসারের জন্য নৃত্য উৎসবটি পালন করে আসছে অগ্রণী ভুমিকা।
দিবসটি মঙ্গলনৃত্য দিয়ে শুরু হয়ে পরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয় উৎসব প্রাঙ্গণ থেকে। সন্ধ্যায় থাকে সমাপনী পর্ব আর আলোচনা,পদক বিতরণ ও নৃত্যগুরুদের পরিবেশনায় বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান।
দেশের সকল নৃত্য শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের প্রত্যাশা আবারও ফিরে আসবে সোনালি সূদিন। থেমে যাবে মহামারি করোনার থাবা। দেশের সব সংস্কৃতি অঙ্গন মুখরিত হবে সংস্কৃতিকর্মীদের পদচারণায়।