===== অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান =====
দেশে একাধারে সংগ্রামী রাজনীতিবিদ, সৎ, আপোষহীন বীর মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক-সম্পাদক যাঁরা ছিলেন ও আছেন, তাঁদের অন্যতম মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত। সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করে ব্যবসা বা শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে বিত্তশালী হবার সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও নিজের আদর্শের প্রেরণায় আজীবন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠন গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত থাকায় কষ্টের জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। শিশুকাল থেকে পিতা-মাতার কাছে মানুষের কল্যাণে ত্যাগের শিক্ষা পেয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত ১৯৬৯ সালে সাংবাদিকতায় ও ১৯৬৪ সালে সার্বজনীন ভোটাধিকার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হবার মাধ্যমে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীনতার পূর্বে বিভিন্ন দৈনিকে রিপোর্টার ছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রতিষ্ঠিত ও ভাষা সৈনিক অলি আহাদ সম্পাদিত ‘ইত্তেহাদ’ এর বিশেষ সংবাদদাতা, ডেইলি ট্রিবিউন এর চট্টগ্রাম-প্রতিনিধি দৈনিক নয়াবাংলা’র সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১৭ আগস্ট তাঁর সম্পাদনায় চট্টগ্রাম থেকে ইজতিহাদ পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
প্রকাশনার কয়েক মাস পর তদানিন্তন স্বৈর শাসক এইচ এম এরশাদ সরকার পত্রিকাটির প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষনা করায় হাইকোর্টে রীটের পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়। তিনি চট্টগ্রাম সংবাদপত্র পরিষদ ও চিটাগাং এডিটরস কাউন্সিল’র সাধারণ সম্পাদক, পূর্বাঞ্চলীয় সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি, বাংলাদেশ সম্পাদক সমিতির আহবায়ক ও ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, প্রেস জুডিশিয়াল, প্রেস রুলস কমিটি সদস্য (২০০২-২০০৬) বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ বিএসপি সহ-সভাপতি (২০০২-২০০৩), বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (১৯৮৮-১৯৯১) চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি (১৯৮০-১৯৮৪), চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নির্বাচন কমিশনার (১৯৮৭-১৯৯১), চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক (১৯৭৯-১৯৮৪), বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় আহবায়ক (১৯৮৭-১৯৯১), গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা কমিটি সদস্য (১৯৯০-৯১), চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটি, জমিয়তুল ফালাহ, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি কাউন্সিলার(১৯৮৩), গণতান্ত্রিক মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান (১৯৯৯-২০০১), চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান (২০০৫) এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান (২০১৪-২০১৭) ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হাটহাজারী ফটিকা আঞ্চলিক মুক্তিবাহিনী (বিএলএফ) প্রধান, হাটহাজারী ফটিকা হুকুমদখল জমি উদ্ধার কমিটি সাধারণ সম্পাদক (১৯৭৯-১৯৮৪), ফেডারেশন অব ইয়ুথ, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল (১৯৭৬-১৯৭৯), জাতীয় সাংস্কৃতিক পরিষদ সাধারণ সম্পাদক (১৯৮১-১৯৮৩) ছিলেন।
সাংবাদিক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট পিআইবি আয়োজিত ১৯৯৩ সালে Trainning Seminar for Editors of Community Newspapers, , ১৯৯৫ সালে Editors Colloquim on investigative Reporting এ অংশগ্রহণ করেন। তিনি চিটাগাং ইউনিভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতি, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটির সদস্য এবং চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য।
গত চার দশক ধরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য। ১৯৯৬ সালে ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা- সাংবাদিক হিসেবে এবং ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর কৃতী সাংবাদিক হিসেবে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সংবর্ধনা দেয় এই গুণী সাংবাদিককে। ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। পরে মুহাম্মদ ইদ্রিস ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এবং ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন আবু সুফিয়ান সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কলিম সরওয়ার।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংবর্ধনা প্রদান করে এই গুণী সম্পাদককে। মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত মুক্তিযোদ্ধাভাতা নেননা বরং তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা টাকার জন্য যুদ্ধ করেননি, ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য যুদ্ধ করেননি- জীবন বিসর্জন দেননি। সেদিন লক্ষ্য ছিল একটাই স্বাধীনতা। স্বাধীনতা পেয়েছি, দেশ পেয়েছি- আর কি?
তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁদের সঙ্গী ছিলেন তাঁদের অন্যতম জাসদ নেতা অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ হাশেম, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডডভোকেট ইফতেখার উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সনওয়ার আলী সানু।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা সকলে এক জায়গায়, একদলে নেই। তবে পরস্পরের সাথে সম্পর্ক আছে। ১৯৭২ সাল থেকে পাঁচবার বাংলাদেশ সরকার বা সরকারের অনুমতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবারেই মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে বা কম বেশী হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিশেষ ঝামেলা নেই। ঝামেলা অন্যত্র : রাজনৈতিক কারণে তালিকাভূক্তি হওয়ার বা তালিকাভুক্তি করানোর বা তালিকা থেকে বাদ দেবার প্রবণতা অথবা কোন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম ভূলক্রমে বাদ পরায় সেই নামটি তালিকাভুক্তি করার চেষ্টার সময় ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক বাঁধার সৃষ্টি।
অভিযোগ আছে মুক্তিযুদ্ধে কোন ভাবেই অংশগ্রহণ করেননি, এমনকি পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে সেই রকম অনেক ব্যক্তিও তৎকালীন (১৯৭২সালে) স্বরাষ্ট্র সচিবের স্বাক্ষর করা অথবা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানীর স্বাক্ষর করা সনদপত্র নীতি বহির্ভূত পন্থায় সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হন।
১৯৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে অস্থিতিশীল রাজনীতিক-প্রশাসনিক পরিবেশে তা ঘটে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই মারা গেছেন। অনেকেই অভিমানে ও বিভিন্ন কারণে দিগন্তে হারিয়ে গেছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সংখ্যা উদ্ধার করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধের ভাতা নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৯৬ সালে, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন আহমদ ২০০৩ সালে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন ২০১৬ সালে মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি সেই পরামর্শ গ্রহণ করেননি।
চট্টগ্রাম একুশে উৎসব পরিষদ ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য একুশে সম্মাননা পদক এবং ওই বছরের ৩০ মার্চ চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি বিগত শতাব্দীর শেষ সিকি ভাগে (১৯৭৫-২০০০) সাহসী সাংবাদিকতা ও বর্তমান শতাব্দীর প্রথম দশকে বিশ্ব প্রেস কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে ভূমিকা রাখায় সম্মাননা প্রদান করে।
তিনি তানজানিয়া ২০০৪ ও ইস্তাম্বুল ২০০৬ ঘোষণায় স্বাক্ষরকারীদের অন্যতম। ভারতের জাতীয় প্রেস ডে উপলক্ষে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া প্রকাশিত স্যুভিনারে ২০০৬ ও ২০০৭ সালে মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের দুটি নিবন্ধ ছাপা হয়। নিবন্ধ দুটি হলো Press Freedom : A continuing struggleÕ (2006, PCI souvenir, page : 145) এবং `Freedom of the press is a fundamental rightsÕ (2007, PCI souvenir, page : 69).
ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলের কান্ট্রি রিপোর্টের ২০০৭-২০০৮ সালে তাঁর রিপোর্ট শ্রেষ্ঠ রিপোর্ট হিসেবে বিবেচিত হয় চমৎকার উপস্থাপন ও লেখনির জন্য। ২০০৪ সালের ২৪-২৬ অক্টোবর তাঞ্জানিয়ার রাজধানী দার-উস-সালামে অনুষ্ঠিত ডব্লিউ এপিসির নবম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তার রিপোর্ট অন্যতম শ্রেষ্ঠ রিপোর্ট হিসেবে মর্যাদা পায় এবং ওই সময় তিনি ডব্লিউএপিসির ১১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য নির্বাচিত হন।
এছাড়া ২০০৬ সালে ইস্তাম্বুলে গঠিত ডব্লিউএপিসির সংবিধান কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর রিপোর্ট ২০০৯ সালের ৮-১০ জুলাই ইস্তাম্বুলে এবং ২০১০ সালের ২৪-২৬ মার্চ সাইপ্রাসে অনুষ্ঠিত ডব্লিউএপিসির সাধারণ এসেম্বলিতে প্রশংসিত হয়।
আনোয়ারা বেগম এবং আওয়ামী মুসলিম লীগ বৃহত্তর চট্টগ্রাম শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৪৯), নিখিল ভারত মুসলিম লীগ, চট্টগ্রাম শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক (১৯২৪) চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির প্রথম মুসলিম সভাপতি মরহুম আবদুল লতিফ উকিলের কনিষ্ঠ পুত্র মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত।
প্রখ্যাত নিউরোসার্জন, বিএম এ প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক ডা. এল এ কাদেরীর ছোট ভাই এবং মোহরাস্থ’ পীরে কামেল হযরত মাওলানা নূর আহমদ আল কাদেরী (রঃ) এর দৌহিত্র। তিনি ৫ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। অধ্যাপক ডা. এল.এ কাদেরী ছাড়া অপরাপর সহোদর হলেন- অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত কাদেরী, অ্যাডভোকেট নূরুল আনোয়ার কাদেরী ও আবুল মোহসেনাত কাদেরী শেখু।
স্ত্রী শেখ আফসানা কাদেরী ইজতিহাদ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। একমাত্র পুত্র শিহাব কাদেরী ও একমাত্র কন্যা সামিনা কাদেরী। তিনি ১৯৯৬ সালে পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন। মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত ১৯৬৪ সাল প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে জড়িত হন। তখন আইয়ূব খান ও ফাতেমা জিন্নাহ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী ছিলেন ফাতেমা জিন্নাহ। ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে প্রচারাভিযানে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে আসেন। এরপর তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৭০-৭২ সালে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ সরকারী ইসলামিক ইন্টারমেডিয়েট কলেজ বর্তমান মহসিন কলেজ শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে শেখ ফজলুল হক মনি প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী যুবলীগে যোগ দেন। ১৯৭৪ সালে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এম.এ. মান্নান ও অ্যাডভোকেট রফিকুল আলমের আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। সকল দল বিলুপ্ত করে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠিত হবার পর রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান।
১৯৭৬ সালে ডেমোক্রেটিক লীগ গঠিত হলে ভাষা সৈনিক অলি আহাদ ও চট্টগ্রামের প্রবীণ রাজনীতিবিদ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী’র অনুরোধে ডেমোক্রেটিক লীগে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে ডেমোক্রেটিক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম মহানগর ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডেমোক্রেটিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ১৯৮৬ সালে ৬ দলীয় ঐক্যজোটের চট্টগ্রামের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে ডেমোক্রেটিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তখন ডেমোক্রেটিক লীগ সভাপতি ছিলেন ভাষাসৈনিক অলি আহাদ। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে আপোষহীনভাবে সাংবাদিকতা পেশা ও উদার মনে সাহিত্য-সংস্কৃতির সেবা এবং সমাজকর্ম চালিয়ে যান।
১৯৯৪ সালে ৬ দল সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৯৮ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ৭ দলীয় ঐক্যজোট, চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী ছিলেন।
১৯৭৯ সালে তার উদ্যোগে সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রতিনিধি পরিষদ চট্টগ্রাম গঠিত হয়। তিনি ঐ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরাম গঠিত হলে তিনি ঐ ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এ.কে.এম কমরুল ইসলাম চৌধুরী।
ইতিমধ্যে তিনি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সংস্কৃতিক সম্পাদকও নির্বাচিত হন। তখন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নুর সাঈদ চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকতায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্যে বিদেশ গেলে মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়াও মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত চট্টগ্রাম সংবাদপত্র পরিষদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের সমস্যাদি তুলে ধরার ব্যাপারে ভূমিকা রাখেন।
১৯৮৩ সালে উত্তর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব গঠিত হলে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ফটিকছড়ির এস.এম. ফসিউদ দৌল্লাহ। ১৯৮৪ এর ১৭ আগস্ট তাঁর সম্পাদনায় চট্টগ্রাম থেকে ইজতিহাদ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তৎকালীন ক্ষমতাসীন এরশাদ সরকার সাহসী ভূমিকার কারণে পত্রিকাটির প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষনা করে। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম সংবাদ পত্র সম্পাদক পরিষদ গঠনে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হলে আজাদী সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ আহ্বায়ক ও মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।
খ্যাতিমান সাংবাদিক কে.জি. মুস্তাফা সংবিধান উপ-কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে কর্ণফুলী নিউজ সম্পাদক ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে সভাপতি, মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতকে সাধারণ সম্পাদক ও মোহাম্মদ মোসলেম খানকে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত করে চট্টগ্রাম সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সম্পাদকবৃন্দের পেশাগত মান-মর্যাদা রক্ষায় তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রখেন।
১৯৮৮ সালে তিনি মুভমেন্ট ফর প্রেস ফ্রীডম-এর জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেক্রেটারী জেনারেল ছিলেন হেলাল হুমায়ূন। ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম.এ. মালেক চট্টগ্রাম সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি নিবাচিত হন।
পরলোকগত বুদ্ধিজীবিদের স্মৃতি রক্ষার্থে তিনি জাতীয় ভিত্তিতে একটি সংগঠন গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ বুদ্ধিজীবি স্মৃতি সংসদ, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হলে তিনি প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। বুদ্ধিজীবি স্মৃতি সংসদের বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে বিচারপতি রুহুল ইসলাম, বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী, ১৯৫২ এর রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনের সৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর, মাহবুব-উল-আল চৌধুরী, খ্যাতিমান সাংবাদিক যথাক্রমে গিয়াস কামাল চৌধুরী ও আমানুল্লাহ কবীর, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী জামাল উদ্দিন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রমুখ যোগদান করে সংসদ গড়ে তোলায় তাঁরা মইনুদ্দিন কাদেরী শওকতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা উপরিউক্ত স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা ছিলেন।
মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা। এই সমিতি গঠনের ব্যাপারে একটি ঘটনা উল্লেখ করতে হয়। তাঁর সম্পাদিত ইজতিহাদ পত্রিকা নিষিদ্ধ হলে কতিপয় ভক্ত ও পাঠক ইজতিহাদ পাঠক ফোরাম গঠন করার প্রস্তাব নিয়ে উপস্থিত হন। তিনি প্রস্তাবের জবাবে বলেন, কেবলমাত্র ইজতিহাদের জন্যে সংগঠন করলে তাতে সংকীর্ণতা প্রকাশ পাবে। সকল সংবাদপত্রের ও পাঠকদের অধিকারের কথা বলার জন্যে স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি গঠন করা যেতে পারে। এইভাবেই নামকরণ হয়ে সংগঠন জন্ম লাভ করে। অধ্যাপক স.ম শহীদুল্লাহ এই পাঠক সমিতি গঠনে ও দায়িত্ব নিতে উৎসাহবোধ করেন।
তাঁর মৃত্যুর পর সাংবাদিক এস.এম জামাল উদ্দিন পাঠক সমিতিকে তৎপর করতে এগিয়ে আসেন ও আহ্বায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত পাঠক সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যে এস.এম জামাল উদ্দিনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও উপদেশ প্রদান অব্যাহত রাখেন।
তাছাড়াও মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত যাত্রী কল্যাণ পরিষদ সভাপতি, চট্টগ্রাম পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির সদস্য, ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য, চট্টগ্রামস্থ ইসলামাবাদ টাউন কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সদস্য, চট্টগ্রাম হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রী কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ কিশোর সমাজ কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সভাপতি, চট্টগ্রামস্থ তফজ্জাল হোসেন মানিক মিয়া স্মৃতি সংসদ ও হাটহাজারী প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা।
হাটহাজারী কবি আলাউল পাবলিক হল প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির অন্যতম সম্পাদক ছিলেন- সভাপতি ছিলেন তৎকালীন জাতীয় সংসদ সদস্য এম.এ. ওহাব। এছাড়াও জাতীয় দিবস উদ্যাপন কমিটি, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। হুকুম দখলকৃত জমি উদ্ধার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন- সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মরহুম আহমেদুর রহমান চৌধুরী।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন- চেয়ারম্যান ছিলেন আহমেদ মীর্জা খবীর। তিনি যখন ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিল এর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ছিলেন তখন এই কাউন্সিল এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন যথাক্রমে অকটয় এক্সি (তুরস্ক) ও মাননীয় বিচারপতি জি এন রায় (ভারত)। তিনি যখন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সদস্য ছিলেন তখন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন যথাক্রমে মাননীয় বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হক ও মাননীয় বিচারপতি আবু সাঈদ আহমদ।
তিনি চট্টগ্রাম রিপোটার্স ইউনিটির প্রধান উপদেষ্টা। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি কিরণ শর্মা ও প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক দিদার আশরাফী। বর্তমানে রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক একটি অনলাইন মিডিয়ার সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
তিনি চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেস ক্লাবেরও উপদেষ্টা। উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম মুজাহিদুল ইসলাম বাতেন।
তিনি যখন চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি (২০০৫) এর চেয়ারম্যান ছিলেন তখন নির্বাচন কমিটির অপর দু’জন সদস্য ছিলেন দৈনিক দেশের কথা’র প্রতিষ্টাতা সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসলেম খান ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন চৌধুরী। যখন সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি ব্যবস্থাপনা কমিটি (২০১৪-২০১৭)র নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন তখন সম্পাদক ছিলেন দৈনিক পূর্বকোণ’র যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।
চট্টগ্রাম তথা দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি বিপ্লবী পত্রিকার নাম ছিল ইজতিহাদ। পত্রিকাটির প্রকাশনার সাথে সাথে চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের ইতিহাসে সংযুক্ত হয় একটি সাহসী বিপ্লব। পত্রিকাটিতে সমসাময়িক রাজনৈতিক মতামত প্রাধান্য পেলেও প্রকাশিত হচ্ছিল জাতীয় মানের সাপ্তাহিক- এর মত। এর আগে চট্টগ্রাম থেকে এই ধরণের কোন সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি।
পত্রিকাটি যখন প্রকাশিত হয়, তখন চট্টগ্রামের কোন দৈনিক বা সাপ্তাহিক অপসেটে প্রকাশনায় উন্নীত হয়নি। ইজতিহাদও সাধারণভাবে প্রকাশিত হয়। কিন্তু, ‘গেট অপ’ ‘মেক আপ’ এর কারণে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। প্রচার সংখ্যাও ছিল প্রচুর। বিশেষ সামরিক আদালতে প্রদত্ত জাতীয় নেতা ভাষা সৈনিক অলি আহাদের একটি জবানবন্দী এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা ও প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যা সম্পর্কে একজন সাবেক সামরিক কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ায় পত্রিকাটি প্রকাশনা এরশাদ সরকার নিষিদ্ধ (অর্ডার নং: ৭৫৬, এইচ,এ, রাজনৈতিক-৩, নভেম্বর ১৯৮৪) ঘোষণা করে। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ এর স্বৈরাচারের পতনের পর ১১ ডিসেম্বর অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাহাব উদ্দিন আহমেদের নির্দেশে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়। অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য রীট মামলা (নং-২০৬৬/১৯৯০) করতে হয়। মামলাটি পরিচালনা করেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও এডভোকেট মাহবুবুল হক। ইজতিহাদ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত।
উল্লেখিত বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে, ব্যক্তি হিসেবেও মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট্র, গণমানুষ, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সেবা করেছেন। উদার মতবাদ, মন-মানসের প্রসারতা, চারিত্রিক ও নীতির সততা, জ্ঞান ও শিল্পানুরাগ, শান্ত পরিবেশে প্রশান্ত জীবন যাপন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসি ও যুক্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত তার সার্থক প্রতীক।
সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে থেকে মুসলিম স্বার্থ, বাংলাদেশী জাতির স্বার্থ, নিপীড়িত সম্পাদক-সাংবাদিক-এর স্বার্থ-সারাজীবনে মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত এই তিন স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর জ্ঞান-বিশ্বাস, বিদ্যা-বুদ্ধি-মতবাদ ও দৃষ্টি ভঙ্গী দিয়ে এ তিনেরই তিনি অকপটে সার্থকভাবে যুগোপযোগী সেবা করছেন। মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত সকলকে সৎ পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁর পরামর্শ নিয়ে অনেকেই সাফল্যের স্বর্ণশিখরে উঠেছে এবং এখনো অনেকে পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে। আমি দীর্ঘায়ু কামনা করি।
————————————————————-
পাদটীকা-ঃ কিংবদন্তীতূল্য কিছু মানুষের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা, মর্যদা দেবার দায়বদ্ধতা থাকে। এমনি দায়বদ্ধতা থেকে আমার এই লেখা।
————————————————————-
লেখক-ঃ
সম্পাদক- সাপ্তাহিক আলোকিত সন্দ্বীপ,
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি-চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেস ক্লাব।