মহিন আহম্মদ চৌধুরী। চট্টবাংলা প্রতিনিধি-ঃ
নগরীর বহদ্দারহাট ফরিদা পাড়ায় এক প্রসূতির প্রসব বেদনা শুরু হয় বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৩টায়। সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এএসআই জুয়েল কান্তি বড়ুয়াকে জানানো হয়।
১৫ মিনিটের মধ্যে টিম চান্দগাঁও পৌঁছে যায় প্রসূতির অবস্থান করা ঠিকানায়। রাত তখন পৌনে ৪টা। প্রসূতিকে খুব সতর্কতার সাথে তোলা হয় গাড়িতে। ছুঁটে চলে আগ্রবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে। পৌঁছে যায় রাত ৪টা ৫মিনিটে।
এএসআই জুয়েল কান্তি বড়ুয়া চট্টবাংলা টিভিকে জানান, থানা থেকে বিয়ষটি আমাকে জানানোর সাথে সাথে প্রসূতিকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে আমি রওয়ানা হই। পরে তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে আমার এবং আমাদের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নাম্বার দিয়ে আসি।
চিকিৎসা অবহেলা বা অন্য যে কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমাদের ফোন করতে বলি।
প্রসূতির স্বামী রাসেল জানান, গতরাতে আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে। পরে চান্দগাঁও থানার হটলাইন নাম্বারে (০১৭৬৯৬৯৫৬৬৯)কল করে আমি সাহায্য চাই। পরে খুব দ্রুত আমার সাথে একজন অফিসার যোগাযোগ করে ছুটে আসেন আমার দেওয়া ঠিকানা মত।
রাসেল আরো বলেন, আমি একজন পোষাক শিল্পের। পুলিশের এমন সেবা আমি ও আমার পরিবার কোন দিনও ভুলবো না। আজ এ সেবা যদি না পেতাম তাহলে হয়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আমার স্ত্রীকে ডাক্তার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। যে কোনও সময় সুসংবাদ আসবে-আশা করেন তিনি।
চান্দগাঁও থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দাকার চট্টবাংলাকে জানান, বাংলাদেশ পুলিশ সকল নাগরিকের নাগরিক সেবা দিচ্ছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের গাড়ি বন্ধ। গভীর রাতে এক প্রসূতির প্রসব ব্যাথা ওঠার কারণে তাকে জরুরি হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে। তাই কর্তব্যরত অফিসার তাকে সতর্কতার সাথে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন বিষয়টা এমন না যে, দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকলেও ওই প্রসূতিকে এমন সেবা দেয়া হতো না! পুলিশ সকল নাগরিকের বিপদে পাশে আছে, থাকবে। মানবিকতাকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান কাজ”।