সবুজ অরণ্য । চট্টবাংলা প্রতিনিধি-ঃ
চলে গেলেন কলকাতার বিশিষ্ট আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষ (৮৬)। বুধবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টায় নিজের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রায় চার মাস ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।
তিনি ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে খ্যাতমান চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে আলোকচিত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘আগন্তুক’ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে সব চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন নিমাই ঘোষ।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি বলেন, বিশিষ্ট আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের আলোকচিত্রী হিসাবে অসামান্য কাজের নজির রেখেছেন। আমি নিমাই ঘোষের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি”।
সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে ‘মানিক দা: মেমোয়ার্স অব সত্যজিৎ রে’ নামের একটি বই লিখেছেন নিমাই ঘোষ। ২০১০ সালে পদ্মশ্রী সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। দীর্ঘ ২৫ বছরের চিত্রগ্রাহক জীবনে নিমাই ঘোষ ৯০ হাজার ছবি তুলেছেন তিনি। পদ্মশ্রী সহ বহু সম্মানে ভূষিত নিমাই ঘোষের প্রয়াণে ফটোগ্রাফি জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল।
এই কিংবদন্তি আলোকচিত্রীর জীবনের শেষ সময় পাশে ছিলেন স্ত্রী আর তাঁর ভাই। ডিসেম্বর থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। “শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে আসছিল। গত তিন দিন খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। ” কথা ছিল রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানোর। সে সময়টা দিলেন না উনি।’’ গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, নিমাই ঘোষের চিকিৎসক কৌশিক ঘোষ।
বুধবার দুপুরে প্রয়াত আলোকচিত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। দেশে লকডাউনের জন্য মুম্বইবাসী তাঁর ছেলে সাত্যকি ঘোষ বাবার কাছে শেষ সময়ে থাকতে পারেননি।
তথ্যসূত্র-আনন্দ বাজার ও উইকিপিডিয়া।