রবিবার , অক্টোবর ১৩ ২০২৪
শিরোনাম
Home / শিক্ষা-সাহিত্য / বাংলা বর্ষ ১৪২৬ এর শেষ সূর্য অস্ত আজ নাই বর্ষ বিদায় ও বরণের প্রস্তুতি। কাল নববর্ষ

বাংলা বর্ষ ১৪২৬ এর শেষ সূর্য অস্ত আজ নাই বর্ষ বিদায় ও বরণের প্রস্তুতি। কাল নববর্ষ

সবুজ অরণ্য। চট্টবাংলা প্রতিনিধি -ঃ
আজ শেষ বিকেলের সূর্য ডোবার মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাংলা বর্ষ ১৪২৬। আগমনী সকালের রোদ্দুর গায়ে মেখে আসবে নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ ১৪২৭। সমবেত কন্ঠে শোনা যেত,” মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা / অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা”।
প্রতিবছর আজকের এইদিনে নগরীর ডিসি হিল, সিআরবি শিরিশ তলা, চট্টগ্রাম শিল্পলকা একাডেমি মাঠে আয়োজন হয়ে থাকে বর্ষবিদায় আর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। কিন্তু এবছর এর কিছুই হচ্ছেনা। মহামারি করোনা কেড়ে নিয়েছে আমাদের আনন্দ। সব সুখ।
চৈত্র সংক্রান্তীর এদিনে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ঢেমশা ও পটিয়া উপজেলার মহিরা গ্রামে আয়োজন করা হয় ক্ষেত্রপাল পুজো এবং গ্রামীণ লোকজ মেলার।
বর্ষবিদায় আর বর্ষবরণের আরেক অনুষদ চট্টগ্রাম চারুকলা ইনিস্টিউটের উদ্যোগে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা। যে শোভাযাত্রায় প্রাণের উৎসবের আলোয় আলোকিত হয়ে অংশ নেয় নাগরিক জীবনের ইট পাথুরের মোহে আটকে তাকা মানুষগুলো।
শুধু চট্টগ্রাম নয়, চট্টগ্রামের বাইরে প্রতিবছর রাজধানীতে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও গানের দল সুরের ধারা দিনটি ব্যাপক আয়োজনে উদযাপন করলেও এবার কোনো আয়োজন নেই।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে সুরের ধারার চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান রাতভর চলার পর শেষ হয় হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে। এবার এ অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না।
নাগরিক জীবনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরোধা সংগঠন ছায়ানটও তাদের ঐতিহ্যবাহী রমনা বটমূলের প্রভাতি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। তবে রমনা বটমূলের বিগত কয়েক বছরের অনুষ্ঠানগুলোর ভিত্তিতে একটি ধারণকৃত অনুষ্ঠান বিটিভি প্রচার করবে।
এ প্রসঙ্গে ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন গণমাধ্যমে বলেন, ‘বর্তমান মহামারিতে বিশ্বজুড়ে অগণ্য মানুষের জীবনাবসান ও জীবনশঙ্কার ক্রান্তিলগ্নে ছায়ানট এবার ‘উৎসব নয়, সময় এখন দুর্যোগ প্রতিরোধের’ এই অঙ্গীকার নিয়ে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান উপস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।” বাংলাদেশ টেলিভিশন (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টায় অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে।
বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপটে ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুনের সমাপনী কথন যুক্ত করা হয়েছে। বিটিভি ছাড়াও অনলাইনে ছায়ানটের (http://bit.ly/Chhayanaut) ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে। প্রথমে শারীরিক দূরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে তা বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
১৯৬১ সালে যাত্রা শুরু করা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের ভোরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আসছে। এর আগে মাত্র একবার মুক্তিযুদ্ধকালে অনুষ্ঠানটি হয়নি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে।
বাংলা বর্ষবরণের আরেক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানকে জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনেসকো অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ অনুষ্ঠানও এবার বাতিল করা হয়েছে। তবে রীতি অনুসারে প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলা বর্ষবরণের পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। এটি ভার্চুয়ালি প্রকাশিত হয়েছে।
চৈত্র সংক্রান্তি এক সময় গ্রামীণ জনপদের প্রধান উৎসব হলেও কালের প্রবাহে একসময় নাগরিক জীবনেও স্থান করে নেয় । এ উপলক্ষে দেশজুড়ে এখনো চলে নানা ধরনের মেলা, উৎসব। হালখাতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, আবৃত্তি, সঙযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠান
ছবি কৃতজ্ঞতায়-ঃ কবি ও গল্পকার বিদুৎ দেব।
তথ্য সূত্র-ঃ ইন্টারনেট, উইকিপিডিয়া।
                                                                                                                      

এটি পড়ে দেখতে পারেন

ভালো মানুষের সংখ্যা বাড়ানোর আন্দোলন চাই

ড. মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী ———————————— সমগ্র পৃথিবী দ্রুত উন্নতি হচ্ছে, হবে, হতেই থাকবে কিন্তু মানুষের …