মানস চক্রবর্তী। চট্টবাংলা প্রতিনিধি-ঃ
পহেলা বৈশাখ মানে পান্তা ইলিশ খাওয়া/ পহেলা বৈশাখ মানে প্রানের আনন্দে হারিয়ে যাওয়া/ ডিসি হিল আর শিরিশ তলায় মেতে উঠা আনন্দের ধুম/ পহেলা বৈশাখ মানে চারুলতার উঠনে কেড়ে নেয়া ঘুম।।
বন্দরনগরীর বৈশাখের মূল অনুষদ ডিসি হিল। চৈত্র সংক্রান্তী দিনে বর্ষবিদায় দিয়ে শুরু হওয়া আয়োজন পরিনত হয় লোকে লোকারন্যে। যে ডিসি হিলে পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উপলক্ষে মানুষের ডল দেখা যেতো সেটি এখন নিষ্প্রাণ নীরব-নিস্তব্ধ।
সড়কে নেই বৈশাখী মেলার জন্য জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা, কিংবা তারুণ্যের হাতে আঁকা আল্পনাও। পহেলা বৈশাখ, বাঙালির উৎসব। নগরের প্রাচীন এ বর্ষবিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে ৪২ বছর ধরে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবারই প্রথম বন্ধ হয়ে পড়লো চিরচেনা এ আয়োজন।
নাগরীর সৌন্দর্যের আরেক আয়োজন বসে সৌন্দর্যে অপরূপা সিআরবির শিরীষতলা। ঐতিহ্যবাহী লালদীঘির জব্বারের বলীখেলার মতো এবার সাহাবউদ্দিনের বলীখেলাও দেখবে না চট্টগ্রামবাসী।
মানুষকে করোনা ভাইরাসের মহামারী থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবার সব আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়েছে।
পরিশেষে শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর সুরে বলতে হয়, ” একদিন ঝর থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে”। সেদিন পুরো বাঙ্গালী জাতি আবার মেতে উঠবে প্রানের মেলা, মিলন মেলা, বৈশাখী মেলায়। শুভ নববর্ষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।