নিজের পড়াশুনার খরচ থেকে বাঁচানো অর্থে করোনা ভাইরাসের মহামারিতে অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন একজন সেলুন মালিকের মেয়ে।
আর সেই মানবিক কাজের ফলাফল হিসেবে জাতিসংঘও করেছে পুরস্কৃত। ভারতের তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে সেই অদম্য কিশোরীর নাম এম নেথ্রা। তার বাবা সি মোহন সেলুনে কাজ করে সংসার চালায়।
জানা যায়, সেলুনের কর্মী বাবা মেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য কষ্টেই জমিয়েছিলেন কিছু টাকা। সেখান থেকে মেয়ের অনুরোধে প্রায় ৫ লাখ টাকা গরীব অসহায়দের সহায়তায় খরচ করা হয়।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এমন মানবতার উদাহরণ সৃষ্টি করা সেই মেয়ে উদারতার পুরস্কার দিয়েছে জাতিসংঘ। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সেই নেথ্রাকে “গুডউইল অ্যাম্বাসাডর টু দ্য পুওর” বা “দরিদ্রদের শুভেচ্ছাদূত” হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে জাতিসংঘ।
সামান্য সেলুন মালিকের মেয়ে হয়েও যেভাবে নিজের শিক্ষার জন্য সঞ্চিত অর্থ পুরোটাই ঢেলে দিয়েছেন গরিবদের মাঝে তাতে এম নেথ্রার প্রশংসা না করে পারেনি জাতিসংঘ। তাই নেথ্রার উদ্যোগকে আরও উৎসাহিত করতে তাকে ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিস (UNADAP)-এর অ্যাম্বাসাডর হিসাবে নিয়োগ করেছে তারা।
ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিস জানিয়েছে, এম নেথ্রাকে নিউইয়র্ক এবং জেনেভাতে আয়োজিত জাতিসংঘের সম্মেলনেও বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হবে।
তথ্যসূত্র ও ছবি- ইন্টারনেট অবলম্বনে।