বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে বাকি ৪ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১১:৪০ মিনিটে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। দুপুর ১:২০ মিনিটে বরগুনা জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা শুরু করেন। এ সময় জামিনে থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ কারাগারে থাকা ৮ আসামি উপস্থিত ছিলেন।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় মো. মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো: সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন কে খালাস দেওয়া হয়।
১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আসাদুজ্জামান রায়ের জন্য বুধবার ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য ২৬ জুন ২০১৯ বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ।
১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নৃশংসভাবে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় পুলিশ যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছিল, তার মধ্যে ১০ জনের বিচার চলে জজ আদালতে। বাকি ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার চলে বরগুনার শিশু আদালতে।
১ জানুয়ারি ২০২০ রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।
উক্ত মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি মো: মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন।