নয়ন: চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিংয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা চান্দু মিয়া(৩৫) ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমীনের আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন মূল হোতা চান্দু মিয়া। এই ঘটনায় তার সাথে আরও চারজন জড়িত ছিল বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন চান্দু।
রোববার ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ডবলমুরিং থানার সুপারিওয়ালা পাড়ার ১ নম্বর গলিতে ১৪ বছরের কিশোরী স্বপ্নাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে চান্দু মিয়া।
এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম জানান, চান্দু এই ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার জবানবন্দিতে আরও ৪ জনের নাম উঠে এসেছে যারা তাকে ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে।
রোববার ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বর্ণার ফুফাতো বোনের বান্ধবী নুরী বেগমের (২০) দাওয়াতে সুপারিওয়ালা পাড়ার একটি বাসায় যান স্বর্ণা ও তার ফুফাতো বোন। নুরী বেগম নিজের বাসায় নেওয়ার কথা বলে বিকেল ৫টার দিকে তাদের দুজনকে চান্দু মিয়ার বাসায় নিয়ে যায়।
ধর্ষিত কিশোরী স্বপ্নার ফুফা জানান, ওই ভবনে নিয়ে গিয়ে নুরী বেগম কৌশলে স্বর্ণা ও রত্নাকে আলাদা দুই রুমে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তার মেয়ে রত্নাকে নিয়ে নুরী বেগমের স্বামী অন্তর (২৪) বাইরে চলে যায়। এরপর ভবনের কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দিয়ে ওই ভবনেই স্বর্ণাকে ধর্ষণ করেন চান্দু মিয়া।
ধর্ষণ শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বর্ণাকে তার ফুফুর বাসার পাশে এনে ফেলে রেখে যান নুরী বেগম।
বাসায় ফেরার পরই স্বর্ণা তার ফুফুকে সবকিছু খুলে বলেন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে সুপারিওয়ালাপাড়ার বাসা থেকে নুরীকে আটক করেন স্বর্ণার স্বজনরা। পরে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নুরীর স্বামী অন্তরকে ডেকে আনা হয় ওই বাসায়। স্বর্ণার স্বজনরা এ সময় তাকেও আটক করে। দুজনকে আটক করার পর ডবলমুরিং থানায় খবর দেয় স্বর্ণার স্বজনরা। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার দিবাগত রাতে ধর্ষক চান্দু মিয়ার সহযোগী মো. রাজিবকে (২০) আটক করে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী স্বর্ণা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন।
এই ঘটনায় স্বর্ণার মা বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেছেন।