মহিন আহম্মদ চৌধুরী। চট্টবাংলা প্রতিনিধি-ঃ
বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। বাড়ছে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ। বন্ধ হয়ে গেছে এ সময়ে খেটে খাওয়া, শ্রমজীবী মানুষের আয়ের পথ। বেড়ে চলেছে মানুষের উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। এই ক্লান্তিকালে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে ছিন্নমূল রোজাদার মানুষগুলো।
এমনই সময়ে ছিন্নমূল মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-চান্দগাঁও থানা শাখা। তারাই যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অতন্দ্র প্রহরী। জাতীর পিতার আদর্শের সফল রূপকার। যোগ্য পিতার যোগ্য উত্তরসূরী।
কারো হাতে পানির জার, কারো হাতে খাবারের পেকেট। কেউবা আবার একাই কাধেঁ তুলে নিয়েছে জনা-বিশেক লোকের খাবার। তারা নিশুতি রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে এগিয়ে চলেছে গলি থেকে রাজপথ।
নগরীর পুরাতন চান্দঁগাও থেকে বহুদারহাট মোড়। মোলভী পুকুর পাড় থেকে শুরু করে চান্দগাঁও থানা কিংবা এক কিলোমিটার। কখনো পাঠানিয়া গোধার মোড় থেকে খাজা রোড মোড়। চলছে তো চলছেই ভবঘুরে, ছিন্নমূল, অসচ্ছল, নিন্ম আয়ের মানুষ আর নিরাপত্তা কর্মীদের সেহেরি বিতরণ।
স্রষ্টার দরবারে যেন একটাই প্রার্থনা তাদের “ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু…”। রাতের নিস্তব্ধতায় অন্যরা যখন ভাতঘুমে বিভোর তখন জাতির পিতার এ উত্তোরসূীরাই অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করে চলছে সেহেরি।
এই মহতি উদ্যোগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যারা কাজ করে চলছে তাদের মধ্যে অন্যতম চান্দঁগাও থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক-শহীদুল আলম শহীদ, সহ-সভাপতি-নয়ন উদ্দিন, আব্দুল হাকিম ফয়সাল, আবু সাঈদ মুন্না, ফরহানুল হক রাকিব। যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাসিন।
আরো যে স্বজনরা এ কাজে যুগিয়েছে প্রেরণা। যুগিয়েছে সাহস। তারা হল চান্দঁগাও ছাত্রলীগ নেতা লুৎফে আজিম রেনেসাঁ, মহসিন ফয়সাল, দিদারুল আলম নয়ন এবং ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আফতাহি এবং মোহাম্মদ আলি।