চট্টবাংলা। ডেস্ক রির্পোট-ঃ
রমজান শুরু হওয়ার সাথে সাথে বোয়ালখালীতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। সরকারের সাধারন ছুটি ও রমজান মিলিয়ে এই অতিরিক্ত দামে পণ্যক্রয়ে নাভিশ্বাস হয়ে ওঠে সাধারণ ক্রেতাদের।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন’র নির্দেশে বাজার মনিটরিং এ বের হয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌুধুরী’র নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। সাথে ছিল ল্যাফটেনেন্ট নাকভির নেতৃত্বে ১৮ বীর ব্যাটেলিয়নের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আরো ছিল এস আই শরিফ এর নেতৃত্ব বোয়ালখালী থানা পুলিশ।
মোবাইল কোর্ট উপজেলা সদর, ফুলতল বাজার, শাকপুরা বাজার সহ বিভিন্ন বড় বাজার পরিদর্শন করেন। এসময় বিভিন্ন দোকানে প্রতিদিনের মূল্য তালিকা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় এর সামঞ্জস্যতা, ক্রয় রশিদের সাথে মূল্য তালিকার পার্থক্যসহ মজুদদারি বিষয় পরিলক্ষিত হয়।
এসময় মূল্য তালিকা না থাকা এবং অতি উচ্চ মূল্যে পন্য বিক্রয় করার প্রমান পাওয়ায় উপজেলা সদরের রেল লাইনের পার্শ্বস্থ আকবর স্টোরের মালিক আলী আকবর কে ৫০ হাজার টাকা, মূল্য তালিকা হালনাগাদ না থাকায় ও বিক্রয়ের সাথে মিল না থাকায় জে আই স্টোর এর মোঃ আনোয়ারকে ৫ হাজার টাকা।
ক্রয়কৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় ৫০% এরও বেশি দামে খেজুর বিক্রয় ও মূল্য তালিকা না থাকায় উপজেলা পরিষদের সামনে মোঃ শহীদুল আলমকে ১০ হাজার টাকা, হালনাগাদ মূল্য তালিকা না থাকায় ফুলতল বাজারের সিরাজুল হককে ৫ হাজার টাকা, ১৫০ টাকায় ক্রয় করে ২৭০ টাকা দরে আদা বিক্রি করায় ফুলতল বাজারের আব্দুল মান্নানকে ৫ হাজার টাকা, মূল্য তালিকার সাথে ক্রেতাদের ক্রয় রশিদের ভিন্নতা থাকায় শাকপুরা বাজারের শেখ আহাম্মদকে ২ হাজার, বাবুল মাহাজনকে ৩ হাজার টাকা, মহরম আলীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট চলাকালীন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাজার কমিটিকে পবিত্র মাহে রমজান ও দেশে চলমান করোনা দার্যোগ কালীন সময় পন্য ক্রয় মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রয় ও সার্বক্ষণিক মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করেন।
তথ্য ও ছবি কৃতজ্ঞতায়- মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) বোয়ালখালী।