মানস চক্রবর্তী। চট্টবাংলা প্রতিনিধি -ঃ
বৈশাক মানে কালবৈশাখী তান্ডব। প্রকৃতির নৃত্যখেলা। কখনো আগমনী বৈশাখে। কখনোবা মধ্যে। প্রকৃতির বুকে প্রকৃতিই তান্ডব চালায় নিজের খেয়াল খুশি মত। নিজ হাতে সাজানো প্রকৃতির রুপ যেন নিজেই নষ্ট করে প্রকৃতি। এবারও যেন তার হচ্ছেনা ব্যতিক্রম।
এবার বৈশাখের শুরু থেকে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। সাগরে ফুঁসতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। এই ঝড়ের নাম দিয়েছে থাইল্যান্ড। সম্প্রতি বিশ্ব গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায় বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় যথেষ্ট শক্তিশালী। এবিষয়টি নিশ্চিতও করে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
এপ্রিলের শেষে অথবা মে মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘুর্ণিঝড়। তবে কোন উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে আম্ফান তা এখনও স্পষ্ট নয়। সাগরে থিতু হলে স্পষ্ট হবে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বা কোথায় আছড়ে পড়ছে।
ভারতীয় আবহওয়া দপ্তর আরো জানায়, এই মৌসুমের প্রথম সাইক্লোন তৈরি হতে চলেছে। এর জেরে ২৭ এপ্রিল আন্দামান সাগরের উপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরদিন ২৮ এপ্রিল একই অঞ্চলে থেকে তা শক্তি সঞ্চয় করবে। ২৯ এপ্রিল ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৩০ এপ্রিল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সমুদ্রের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করবে।
‘নর্দান ইন্ডিয়ান ওসেন সাইক্লোন’ এর নামগুলি আটটি দেশ পর্যায়ক্রমে রাখে। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড।
থাকছে নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত-ঃ
দেশে গত কয়েকদিন ধরে টানা ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছে। আজ শনিবারও সকাল থেকে সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি কোথাও ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে এবং কোথাও ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
দেশের কিছু অঞ্চলের নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত এবং বাকি অঞ্চলের নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে
বলা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তথ্য ও ছবি- ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।