এম. জুনায়েদ। চট্টবাংলা ফটিকছড়ি প্রতিনিধি-ঃ
জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার বাবুনগরে নামাজে সীমিত আকারে মুসল্লির অংশগ্রহণমূলক সরকারী নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে হামলায় ২ জন আহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) নাজিরহাট পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড স্কুলের পাশে মাওলানা আব্দুর রহিম বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এতে মাওলানা আলাউদ্দীন ও মাওলানা আতিক উল্লাহ নামের দুজন আহত হয়।
আহত মাওলানা আতিক উল্লাহ বলেন, চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ওয়াক্তিয়া নামাজের জামাতে ৫ জন ও জুমার জামাতে ১০ জনের অংশগ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
নির্দেশনার আলোকে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিটি মসজিদের মুতওয়াল্লী বরাবর নোটিশ প্রেরণ করেন। গতকাল মুতওয়াল্লীর পক্ষ থেকে এই নোটিশ পড়ে মুসল্লিদের শুনিয়ে দেয়া হলে ৫ জন কারা থাকবে তা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়।
আমি পূর্ব পাড়া ও পশ্চিম পাড়া থেকে ৫ জন ঠিক করে দিলে পূর্ব পাড়ার লোকজন তা অমান্য করে চলে যায়। এ বিষয়ে আজকে জুমার নামাজে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন আসলে আমি তার সাথে কথা বলছি এমন সময়ে হঠাৎ করে মুহাম্মদ আব্দুল করিম, আব্দুল হালিম, মুহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ নাছির, আজম, বাহাদুরসহ আরো কিছু উসৃঙ্কল লোকজন মুতাওয়াল্লী মুহাম্মদ আলা উদ্দীনের উপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি লাঠি ও ইট দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত করে।
আমি তাদের নিবৃত করতে এগিয়ে গেলে তারা আমার উপরও একি কায়দায় হামলা করে। এতে আরো অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এবিষয়ে মাওলানা আতিক উল্লাহ ও মাওলানা আলা উদ্দীন বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
জানতে চাইলে বিবাদী মুহাম্মদ আব্দুল করিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা নিজেরাই খেয়াল খুশিমত মসজিদ পরিচালনা করে আসছে। কমিটি নবায়ন করতে বললে তারা নানা তাল-বাহানা করে এডিয়ে যায়। আমরা হামলা করিনি আমাদের উপর হামলা করেছে। বিষয়টা স্হানীয় কাউন্সিলর মীমাংসা করে দিয়েছে।