ডেক্স নিউজ
আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আমাকে বিয়ে দিতে গিয়ে আমার বাবার অনেক ধার দেনা করতে হয়েছে অথচ ধার-দেনা শোধ করার আগেই আমার বাবার সাজানো স্বপ্ন আমার স্বামী মিন্টুর অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে বিয়ের ২৫ দিনের মাথায় আমার স্বামী আমাকে মারধর ও নির্যাতন করে স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়.আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে গত ২৯/০৯/২০১১ ইং তারিখে ৫ম সিনিয়র সহকারি জজ ও পারিবারিক আদালতে আমার বিরুদ্ধে সেপারেশন মামলা দায়ের করেন। মামলা চলমান অবস্থায় মিন্টু আমার থেকে অনুমতি না নিয়ে গত ১২/০৬/২০২৩ইং তারিখে নগরীর আগ্রাবাদস্থ গোসাইলডাঙ্গা দূর্গামন্দিরে ঐ মেয়ের সাথে বিয়ে করতে বসলে আমি গিয়ে বাধা প্রদান করি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তার আশায় ৯৯৯ এ ফোন করলে বন্দর থানার পুলিশ আসলেও আসামী মিন্টুকে তার প্রভাবশালী মহলের কারণে আটক করতে পারেনি। পরে সে অন্যত্র গিয়ে ঐ মেয়ের সাথে বিয়ে সম্প্রদান করেন। বিয়ের পর থেকে লোক মারফতে আমাকে ও আমার পরিবারকে খুন-গুম করার হুমকি দিয়ে আসছে। এমতো অবস্থায় নিরুপায় হয়ে গত ১৫/০৬/২০১৩ইং তারিখ ২য় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে আমি একটি ফোজদারি মামলা দায়ের করি।
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে ২য় বিয়ে, প্রথম স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ২০ তারিখ মোমিন রোডস্থ ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তন বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মুন্নি দাশ।
তিনি আরো বলেন, আদালতে আমার বিরুদ্ধে সেপারেশন মামলা করে ও ক্ষান্ত হয়নি। আমি ও আমার বাবাকে প্রতিমুহূর্তে গুম খুনের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। এখন আমি নিরুপায় হয়ে জাতীর বিবেক হিসেবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মিন্টু দের উপযুক্ত বিচারের দাবি করছি।
মিন্টু কুমার দে পটিয়া থানার অন্তর্গত ধলঘাটের সুনীল দে’র ছেলে।সেই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, মানবাধিকার কর্মী, হিন্দু মহাজোটের নেতৃবৃন্দ ও তার পরিবারের সদস্যরা।