নারী। হোকনা শিশুকন্যা। কিশোরী কিংবা যুবতী। কোপালে টিপ দিতে ভালবাসেনা এমন কাউকে খঁজে পাওয়া দুস্কর। টিপ নারী সৌন্দর্যের অপূর্ব আর নয়নাভিরাম এক অনুষদের নাম। সব সাঁজ-গোঁজের পর কোপালে একটি টিপ নারীর সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলে কয়েকগুন।
সম্প্রতি এক “মেডিক্যাল সার্ভে” থেকে জানা যায়, যেসব নারী কোপালে সারাবেলা টিপ দিয়ে রাখে এতে শুধু তার সৌন্দর্য বাড়েনা। কোপালে দেয়া টিপ তার মনো-দৈহিক অবস্থারও পরিবর্তন করে।
গবেষণা বলছে সবসময় যারা কপালে টিপ পরেন তাঁরা দৈহিক ও মানসিক কয়েকটি সমস্যা থেকে মুক্ত থাকেন। বাঙ্গালী নারীর সৌন্দর্যের ভূষণ হল ‘টিপ’। এই আচার একদিকে যেমন সনাতনি প্রথার একটা অঙ্গ, তেমনি এই নিয়ে বিতর্কও কম নেই। কিন্তু, কপালে টিপ পরা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এমনটাই দাবি জানাচ্ছে স্বাস্থ্য বিষারদরা।
প্রচীন যোগ বিদ্যা থেকে চিনা আকুপ্রেশারে ‘টিপ’ পরা নিয়ে একাধিক কারণ দর্শিত আছে। এই বিদ্যায় বলা হয়েছে, কপালে দুই ভ্রু-র মাঝখানে যেখানে মহিলারা ‘টিপ’ পরেন তা ‘আজনা চক্র’ বা ‘আজ্ঞা চক্র’ নামে পরিচিত। এটা যোগ বিদ্যা বা ‘মেডিটেশন’-এর মূল চক্র।
আর ‘আকুপ্রেশার’ শাস্ত্রের মতে, রোজ কপালের এই স্থানে কয়েক মিনিট আঙুল ঠেকিয়ে রাখলে স্বাস্থ্যের পক্ষে তা ভাল।
এছাড়া টিপ পরায় নারী দেহের আরও কিছু উপকারিতার কথা বলা রয়েছে শাস্ত্রীয় নিয়মে। আর তার মধ্যে নিম্নোক্ত কিছু আজকে তুলে ধরা হল আপনাদের জন্য-
১. নিয়মিত টিপ পরলে মাথার যন্ত্রণা দূর হয়।
২. সাইনাস রোগীদের পক্ষে কপালে টিপ পরা ভাল। কারণ টিপ কপালে থাকার কারণে নার্ভকে সঞ্চালিত করে অনুভূতি তৈরি করে। এতে সাইন্যাসের ব্যাথার অনেকটা উপশম হয়।
৩. দৃষ্টিক্ষমতা বাড়ে।
৪. ত্বককে রাখে তরতাজা ও উজ্জ্বল।
৫. মানসিক অবসাদ দূর করে।
৬. শোনার ক্ষমতা বাড়ায়।
৭. স্ট্রেস, চোখের উপর চিনচিন করা ব্যাথা, ক্লান্তি এবং নিদ্রাহীনতা দূর করে।
৮. স্মৃতিশক্তি ও মনসংযোগ বাড়ায়।
৯. অনুধাবন ক্ষমতা এবং সচেতনতা বাড়ায়।
১০. মন শান্ত থাকে।
তথ্য সূত্র ও ছবি- ইন্টারনেট অবলম্বনে।