সারাদেশে বাড়ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে লাশের সারি। বাড়ছে প্রিয়জন হারানোর হাহাকার। এসময়ে মহানুভবতার উজ্জল দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করলেন, দরবারে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতা আর বেসরকারি হাসপাতালগুলো যখন এ দুঃসময়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের চিকিৎসা সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন বাংরবার।
কঠিন এ-সময়ে ফটিকছড়ির মানুষের সেবার জন্য নিজের প্রতিষ্ঠানকেই উম্মুক্ত করে দিলেন তিনি।
ফটিকছড়িতে মাদরাসা-ই-গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীতে ভাণ্ডার শরিফ, আজিমনগর, ফটিকছড়ি,চট্টগ্রামে প্রস্তুত করা হয়েছে করোনা আক্রান্তদের জন্য ১৫ বেডের আইসোলেশন সেন্টার।
আওলাদে রাসূল (দ.) ও আওলাদে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (ক.) রাহবারে আলম হযরতুলহাজ্ব শাহসূফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র প্রতিষ্ঠিত প্রাণের বিদ্যাপীঠ মাদরাসা-এ-গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর নতুন ভবনে ফটিকছড়ি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
আজ (৭জুন) রবিবার সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনে আসেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন।
এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই আইসোলেশান সেন্টারে বিত্তবানদের সার্বিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, এই আইসোলেশন সেন্টার বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে পর্যায়ক্রমে ১৫ বেড থেকে বাড়িয়ে ৩০ বেড উন্নিত করা যাবে।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীসহ যেকোন ধরনের আর্থিক অনুদান প্রদানেরও আহবান করেন তিনি।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নূরুল আমিন। স্থানীয় সংবাদকর্মী ও এলাকার প্রতিনিধিগণ।