বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় পেল ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবিলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’। ই-মিউটেশন উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার পেয়েছে মন্ত্রণালয়টি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের (ডেসা) আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লিউ ঝেনমিন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘বাংলা প্রেস’ এ খবর নিশ্চিত করে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে পাঠানো এক জ্ঞিপ্তিতে জানানো হয়, ই-মিউটেশন উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
প্রসংগত, এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হলেন প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী (বাবু’র) বড় ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল উল্লেখ করেন, ‘জনস্বার্থে সেবার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়টির অসামান্য অর্জন শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ আপনার দেশে জনপ্রশাসনের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে।
প্রকৃতপক্ষে, এই কাজ জনসেবায় ব্রতী হতে বাকিদের অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে।’
ওই চিঠি পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের এ ধরনের সাফল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের দূরদর্শী উদ্যোগেরই ফসল’।
স্থানীয়, জাতীয় ও বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য প্রদত্ত সেবার গুণগত মান ও উৎকর্ষ উদযাপনের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ রেজ্যুলেশন ৫৭/২৭৭ এর মাধ্যমে ২৩ জুনকে ‘জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। প্রতিবছর ২৩ জুন, যথাযোগ্য আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে জাতিসংঘ দিবসটি উদযাপন করে।
এসময় বিশ্বজুড়ে সরকারি সেক্টরে গৃহীত সর্বোত্তম উদ্ভাবনী উদ্যোগসমূহকে পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ এবারের পাবলিক সার্ভিস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে।
তবে জাতিসংঘের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নমুখী প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে এই পুরস্কার বিজয়ের বিষয়টি তুলে ধরার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তথ্য ও ছবি- মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘বাংলা প্রেস।