নিজস্ব প্রতিবেদক। চট্টবাংলা -ঃ
সারাদেশে যখন গাণিতিক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। হিমশিম খাচ্ছে করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বস্থ্যকর্মী আর বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো।
ঠিক এমনি সময়ে জাতীকে আশার আলো দেখালো সমাজ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান “গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র”। দেশের মাটিতেই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ প্রকল্পের আওতায় করোনা ভাইরাস পরিক্ষার কিট উদ্ভাবনের ঘোষণা দিল। আর ঘোষণার পর থেকে খুব কম সময়েই তাদের উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাস টেস্ট কিটের স্যাম্পল তারা হস্তান্তর করল আজ।
আজ শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর এ টি এম হায়দার বীর বিক্রম মিলনায়তনে এ নমুনা হস্তান্তর করা হয়। তবে আমন্ত্রণ জানানোর পরও মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এ কিট গ্রহণের জন্য যায়নি সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতিনিধি না থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে কিট দেয়া যায়নি।
কিট হস্তান্তরকালে বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, এই ডিভাইসের মাধ্যমে মাত্র পাঁচ মিনিটেই পরীক্ষা করা যাবে করোনাভাইরাস।
এর আগে, করোনা টেস্টিং কিট প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা কিট তৈরিতে সফল হয়েছি। রক্ত পরীক্ষা করার পরে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। আজ আমরা সরকারকে নমুনা দিচ্ছি, যাতে তারা পরীক্ষা করতে পারে। পরীক্ষা করার পর অনুমোদন দিলে প্রথমে দেব ১০ হাজার, তারপরে এক লাখ দেব।
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আর্মি প্যাথলজি ল্যাবরেটরি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডাব্লিউএইচও) বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে। আমরা তাদেরকে আমাদের উদ্ভাবন কৃত এই কিট দেব।
গত ৫ এপ্রিল চীন থেকে রিএজেন্ট আসার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা জিআর ‘কভিড-১৯ ডট ব্লোট’-এর স্যাম্পল তৈরির কাজ শুরু করেন। এ উদ্ভাবনে রয়েছে ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী। প্রথম ধাপে চীন থেকে আসা রিএজেন্ট দিয়ে আপাতত ১০ হাজার স্যাম্পল তৈরির কাজ শেষ করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
কিট হস্তান্তরের সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদেরকে সিডিসি কনফার্ম করেছিল আসবে, একমাত্র তারাই এসেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও আমরা এই অনুষ্ঠানে আসার অনুরোধ জানিয়ে ছিলাম।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দুঃখ করে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আজকের কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র সিডিসিকেই আমরা দিয়ে দেব। বাকিদেরকে আমরা কালকে সরকারিভাবে প্রত্যেকের অফিসে পৌঁছে দেব। আমাদের দুঃখ, আপনাদের সামনে হস্তান্তর করতে পারছি না।
এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. বিজন কুমার শীল ছাড়া প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকারসহ অন্য বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন।