অনন্যা অর্পিতা। চট্টবাংলা বিনোদন প্রতিবেদক-ঃ
সারাদেশে চলছে করোনা যুদ্ধ। রাষ্ট্রের পাশাপাশি দেশের সব শ্রেণী পেশার মানুষ সামিল হয়েছে দেশ ও দেশের মানুষকে করোনা যুদ্ধে জয়ী করার প্রত্যয়ে। একে একে এগিয়ে এসেছে পুলিশ, ডাক্তার, শিল্পী-সাংবাদিক, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন আর সশস্ত্র বাহিনী পর্যন্ত।
প্রত্যেকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে এসেছে সবাই। এ ধারাবাহিকতায় করোনা যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী যোদ্ধাদের জন্য নিজের বাড়ি ছেড়ে দিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। এবিষয়ে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সাথে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতাও সর্ম্পন্ন করেছেন তিনি।
এবিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ন্যান্সি বলেন, নেত্রকোনায় আমার একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি আছে। বাড়িটি করোনা রোগী, চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাকর্মী আর করোনা যোদ্ধাদের জন্য ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু বর্তমানে দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে সেহেতু বাড়িটি জনস্বার্থে ছেড়ে দিলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির এসময়ে যদি বাড়িটি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপকারে আসে সেটিই হবে আমার বড় প্রাপ্তী। কারোনা মহামারী থাকা অবস্থায় যতদিন দরকার ততদিন আমার নেত্রকোনার বাড়ি জনস্বার্থে ব্যবহার করতে পারবে প্রশাসন।
বাড়িটি কিভাবে কাজে লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে ন্যান্সি বলেন, এ বিষয়ে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঈনুল ইসলাম’র সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি কিভাবে বাড়িটি কাজে লাগাবেন তা আমাদের জানাবেন। আমরা বলেছি, ওই বাড়িটি করোনাযোদ্ধা চিকিৎসকদের থাকার জন্য কাজে লাগাতে পারেন। আবার অনেকের আইসোলেশনে জায়গা হচ্ছে না; সেক্ষেত্রে বাড়িটি কাজে লাগাতে পারেন। এছাড়া চাইলে করোনাভাইরাসের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকরা এখানে থাকতে পারবেন।
সংগীতশিল্পী ন্যান্সি আরও বলেন, আমরা একটি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি। এই যুদ্ধ কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারব না। দেশের মানুষ আজ অসহায়। খাদ্যের জন্য হাহাকার, সুচিকিৎসার অভাব। এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমরা যারা স্বাবলম্বী; তাদের সবারই এগিয়ে আসা উচিত।
বাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি আরো জানান, আমার ব্যাক্তগত অনুশোচনার জায়গা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। শুধু বাড়ি না, আমার ব্যক্তিগত গাড়িটাও দিয়েছি। এই দুঃসময়ে যদি আমরা মানবিক না হই, তাহলে তো আমরা মনুষ্যত্বহীন মানুষে গণ্য হবো।
এ বিষয়ে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঈনুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, সংগীতশিল্পী ন্যান্সি তার বাড়িটি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যবহারের জন্য দেয়ার কথা জানিয়েছেন। প্রয়োজন হলে আমরা তা কাজে লাগাবো। যতদিননা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ততদিন বাড়িটি করোনা যোদ্ধারা ব্যবহার করতে পারবেন।