দূর্জয় বড়ুয়া (শান্ত) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা দীঘিনালা উপজেলা একমাস ধরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব চলছে পার্বত্য চট্টগ্রামের হাজারো বিহারে।
খাগড়াছড়ির সবচেয়ে বড় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার পরম পূজনীয় অর্হৎ অনুবুদ্ধ ধুতাঙ্গ ভান্তের তৃতীয় সাধনা স্থান নব আর্য্য প্রবর্তন বিহারে ১ নং মেরুং ইউনিয়নের মনের চংড়াছড়ি। দিনব্যাপী এ উৎসবে জেলা ও জেলার বাইরের ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটে।
শনিবার বার ( ২৫ নভেম্বর) সকালে ও দুপুরে বিহার প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিশাল ধর্মীয় সমাবেশে দেশনা দিয়েছেন পরম পূজনীয় অর্হৎ অনুবুদ্ধ শীলানন্দ মহাস্থবির ধুতাঙ্গ ভান্তে।
গৌতম বুদ্ধর সময় বিশাখার প্রবর্তিত নিয়ম অনুসরণ করে দু’দিনব্যাপী এই দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসবটি। এ বিহারের ১২ তম কঠিন চীবর দান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম আর উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য বাবু কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া অংশ নেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা, ওই সুতায় রঙ লাগিয়ে চীবর তৈরি করেন শত শত দায়ক-দায়িকা। সেই চীবর ভান্তেদের উৎসর্গ করা হয়।
এছাড়াও সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কারদান, বৌদ্ধ মূর্তি দান, ভিক্ষুদের পিন্ড দানসহ বিভিন্ন দান করা হয়। সন্ধ্যার পর ফানুস বাতি উত্তোলন করা হয়।