শাহেদ হোসেন ছোটন। বোয়ালখালী প্রতিনিধি-ঃ
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের হাজারীরচর বড়ুয়াপাড়া ও উপজেলার মধ্যম শাকপুরা এলাকার দুই পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কড়া নির্দেশনা জারি করেছে বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন।
আজ (৬ এপ্রিল ২০২০) সোমবার এ-অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আছিয়া খাতুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৮ বীর ব্যাটেলিয়ন এর ক্যাপ্টেন মুবিন ও সঙ্গীয় সেনা সদস্যরা
প্রসাশন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের প্রথম করোনা রোগী বৃদ্ধার ছেলে চাকরি করত নগরীর খুলশী এলাকার অভিজাত প্রতিষ্ঠান বাস্কেট সুপার শপে। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত বোয়ালখালী পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের হাজারীরচর বড়ুয়া পাড়ার বকুল বড়ুয়ার ছেলে সানি বড়ুয়া। সুপার শপটি জেলাপ্রশাসক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা লকডাউন করার পর সানি বড়ুয়া ফিরে আসে বোয়ালখালী পৌরসভাধীন তার গ্রামের বাড়ীতে।
সানি বাড়িতে ফিরে এলাকায় অবাদে চলাফেরা করার গোপন সংবাদ পেয়ে তার বাড়ীতে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়, পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার বাড়ীর সামনে লাল পতাকা উড়িয়ে সতর্কতা মূলক ব্যানার লাগানোর নির্দেশ প্রদান করে পুরো পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কড়া নির্দেশ জারি করেন।
এছাড়াও উপজেলার মধ্যম শাকপুরা এলাকার মৃত সৈয়দ কাদেরর ছেলে সৈয়দ বেলাল। সে নগরীর দামপাড়া ১নং গলির লকডাউন করা বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পুরো পরিবার নিয়ে গত শুক্রবার (৩ এপ্রিল) শাকপুরা গ্রামে চলে আসায় পরিবারটিকেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ জারি করেন উপজেলা প্রশাসন।
এবিষয়ে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন চট্টবাংলাকে বলেন ‘যেহেতু চট্টগ্রাম শহরেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে তাই আমরা শতভাগ সতর্ক আছি, সন্দেহভাজন দের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণ ও টেস্ট করানোর জন্য তৎপর আছি, আশা করব এ বিষয়ে তথ্য গোপন করে নিজের ও পরিবার এবং সমাজের ক্ষতি কেউ করবে না’
সহকারি কমিশনা (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে বলেন ” স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে”।