অভি পাল(প্রতিনিধি)
পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায় ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়
সেই পুরানো স্মৃতিকে আবার রোমন্থন করার জন্য We are committed to serve the nation, in the way we grew up” -স্লোগান নিয়ে নানান আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে বানীগ্রাম চাইল্ড স্পন্সরশীপ প্রোগ্রাম বর্তমানে মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প – বাণীগ্রাম বিডি-৫১১ এর শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান প্রাক্তন ছাত্র শৈবাল ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে গত ৪ আগস্ট বাণীগ্রাম কালভেরী ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সালের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা একত্রিত হয়ে হারিয়ে যায় সেই পুরনো দিনে। নানান বয়সের প্রাক্তনদের আবেগ যেন একটু বেশিই ছিল।খুনসুটিতেও কেউ কাউকে ছেড়ে দেননি। তাদের আবেগ-স্মৃতিচারণ-আড্ডা ছুঁয়ে যায় প্রকল্প প্রাঙ্গণ।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান বিএবিসিটি ও সল্ট বাংলাদেশ ট্রাস্ট পাস্টর হিউবার্ট অজয় মিত্র। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিডিএ কর্ডিনেটর, স্লট বাংলাদেশ ট্রাস্ট রুবেল নাথ , বিসিএসপির প্রতিষ্ঠা চেয়ারম্যান নিপুল দে, বর্তমান চেয়ারম্যান কাজল সিকদার, প্রথম প্রকল্প ম্যানাজার চিত্ত দে, প্রাক্তন প্রকল্প ম্যানেজার প্রবাল ভট্টাচার্য্য, বর্তমান মানেজার ছোটন দে।
অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন – প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকা , সহ বর্তমান শিক্ষক -শিক্ষিকাগণ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘এই পুনর্মিলনীর মাধ্যমে আমরা আবার সংগঠিত হতে চাই।প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যবাহী বাণীগ্রাম চাইল্ড স্পনসরশীপ প্রোগ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান।
উল্লেখ্য কম্পেশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অর্থায়নে পরিচালিত মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প – বাণীগ্রাম বিড়ি-৫১১অসহায়, হতদরিদ্র, অবহেলিত শিশুদের নানান সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অসহায়, হতদরিদ্র, অবহেলিত শিশুদের ভরসার জায়গা বিসিএসপি।
মূলত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ছিল প্রাক্তনদের নিয়ে ক্যাম্পাস বিজড়িত স্মৃতিমূলক অনুষ্ঠান। কৌতুক পরিবেশন, কুইজ প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ ও গল্প বলা, বন্ধুদের পরিবেশনায় কপি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, তুমি কি আগের মত আছো, ইত্যাদি পুরনো দিনের গানের মাঝে সবাই যেন হারিয়ে যায়। সৃষ্টি হয় এক অন্য পরিবেশ। এ যেন এক প্রাণবন্ত পুনমিলনী। সকলের চোখে মুখে
একটাই যেন প্রত্যাশা এ বন্ধন নাহি যেন হয় শেষ।