
চট্টবাংলা ডেক্স
নিরাপত্তা শিশুর জন্মগত অধিকার বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন দারুল উলুম মাদরাসা গর্ভনিং বডির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর ২০২২ইং) সকালে দারুল উলূম কামিল মাদরাসায় শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উক্ত মত প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যত রাষ্ট্রনায়ক। শিশুরা শারীরিক-মানসিকভাবে যত উন্নত হবে, দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ তত সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি প্রতিটি শিশুরই পিতা-মাতার আদর-স্নেহ এবং নিরাপত্তায় বেড়ে ওঠার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমাদের শিশু রাসেল সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে পুরোপুরিভাবে। মাত্র চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাত্রে ঘাতকরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে শেখ রাসেলকে। একজন রাষ্ট্রপতি পিতা এবং মমতাময়ী মায়ের কোলও অনিরাপদ হয়ে উঠেছিল ১৫ আগস্ট রাত্রে। নৃশংস হত্যাকান্ড থেকে রেহাই পায়নি সেদিনের নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল। শিশু রাসেলের অশ্রুসিক্ত আকুতিও ইতিহাসের জঘন্যতম নরপশুদের মন গলাতে পারেনি। অথচ প্রত্যেকটা শিশুই তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে পরিপূর্ণভাবে বেড়ে উঠতে চায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি তারাই শিশু রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ফলত মাত্র ১০ বছর ৯ মাস বয়সে এই প্রতিভাবান শিশুর জীবনপ্রদীপ নিভে যায়। তাই শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন মনোভাব পোষন করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহবান জানান তিনি। শিশু সমাবেশ শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চকলেট বিতরণ করেন মাদরাসা গর্ভনিং বডির সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। শেখ রাসেলের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মাদরাসা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুহসিন ভূঁইয়া। এসময় মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।