
অভি পাল (প্রতিনিধি)
‘আসন্ন কোরবানির ঈদের বর্জ্য অপসারণে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। চসিক বিগত বছরগুলোর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারো ঈদের দিন বিকেল ৪টার মধ্যে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে।
মেয়র আরো জানান, সিটি করপোরেশন ৬টি জোনে বিভক্ত হয়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করবে। আর এ কাজের জন্য করপোরেশন ৫ হাজার শ্রমিক, ৩৪৫টি গাড়ি, পশু জবাইকৃত স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করেছে। এবং সরু রাস্তা ও গলি থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য টমটম, হুইল ভেরু ও বর্জ্য অপসারণ কাজ তদারকিতে নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজারদের জন্য সিএনজি চালিত ট্যাক্সির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়ে চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রতিটি ওয়ার্ডের মসজিদগুলোতে ইমাম সাহেবের মাধ্যমে প্রচার, হ্যান্ড বিল ও লিফলেট বিলি ও কোরবানির পশুর বর্জ্য নালা-নর্দমাসহ যত্রতত্র না ফেলার জন্য চসিক কর্তৃক কোরবানি দাতাদের পলিব্যাগ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করপোরেশনের পক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণে কোন ওয়ার্ডে কতো ট্রিপ গাড়ি দেওয়া প্রয়োজন তাও দেয়া হবে জানান। এ জন্য দামপাড়াস্থ চসিক কার্যালয়ে ১টি কন্ট্রোলরুম খোলাসহ চসিকের প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখা ও পরিবহন পুলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে মেয়র কোরবানির ঈদের বর্জ্য অপসারণে নগরবাসী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন, প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সাফল্য ধরে রাখতে পারলে পরিচ্ছন্ন বিভাগের দায়িত্বরত শ্রমিক-সেবকদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান এবং করপোরেশনের পক্ষে ঈদের দিন দুপুরে কর্মরত পরিচ্ছন্ন শ্রমিক-সেবকদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।