
মরণব্যাধী করোনার ক্রান্তিকালে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি। তাঁদের বাঁচাতে এবং এলাকার লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দিতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপোর্টসহ নগরীর হামিদচরে চালু করা হয়েছে ‘মিনি হাসপাতাল’।
এই হাসপাতালের উদ্যোক্তা একই এলাকার তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। ৫ (পাঁচ) বেডের এই মিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে থাকবেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আর রোগীদের সহায়তায় থাকবে স্বেচ্ছাসেবী।
২৪ ঘন্টার এই করোনা কালিন হাসপাতালে একজন রোগী প্রাথমিক সব চিকিৎসা পাবেন বলে জানান, এর স্বপ্নদ্রষ্টা ব্যবসায়ি ও সমাজ সেবক মোঃ ইকবাল হোসেন। তিনি আরো বলেন, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির প্রায়স মৃত্যু হয় শ্বাসকষ্টে অর্থাৎ অক্সিজেনের অবাব জনিত কারণে। তাই আমরা চেষ্টা করেছি যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে। অক্সিজেনসহ চিকিৎসা নেয়ার অত্যবশ্যকতা সম্পর্ন কোন রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন অথচ তাঁর সামর্থ্য নেই, তাদের জন্য রাখা হয়েছে বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা। এছাড়াও রোগীর শারিরীক অবস্থার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা সেবাকেন্দ্রে অবস্থান করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে রাখা হয়েছে রাত্রী যাপনের সু-ব্যবস্থা। হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় বেশ ক’জন বাসিন্দা জানান, এই মরণব্যাধী করোনা কালীনতো বটেই স্থানীয় জনগণের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি এলাকার বিত্তবানরা তাঁদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে নিজ নিজ এলাকায় এমন উদ্যােগ নেয়া এখন খুব জরুরী। এতে করে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে অনন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা পাবে।

