সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী দূর্গাপুজায় তিন দিনের সরকারী ছুটির দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে চট্টগ্রামের সচেতন হিন্দু সমাজ।
শুক্রবার ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০:৩০ মিনিটে সচেতন হিন্দু সমাজের আহবায়ক রিপম দাশ শেখর এর সভাপতিত্বে ও টিটু শীল এর সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়।
কর্মসূচীতে জাগো হিন্দু পরিষদ, বাংলাদশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, সনাতন, বিশ্ব সনাতন ঐক্য, শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, গোয়ালপাড়া লোকনাথ সেবা সংঘ, গীতামমৃতম্ সংঘ বাংলাদেশ, সনাতন মৈত্রী সংঘ, বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ, বাংলাদেশ বৈদিক পরিষদ, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, রাধা বিনাদ কেন্দ্রীয় পরিষদ, নবযুগ মা দুর্গা ফাউন্ডেশন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি সহ ১৫ টিরও অধিক হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে চসিক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শৈবাল দাশ সুমন, পুলক খাস্তগীর, রুমকি সেনগুপ্ত, রমনা কালি মন্দিরের উপদেষ্টা মিলন শর্মা, অধ্যাপক বনগোপাল চৌধুরী, সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ, ডা.কথক দাশ, সুজিত সরকার, প্রিতম দেবনাথ, রুবেল কান্তি দে, বিশ্বজিৎ সরকার, বাপ্পীদেব বর্মণ, লিংকন তালুকদার, অশোক চক্রবর্তী, অমিত ধর, রুবেল কান্তি দেবনাথ, বিকাশ কান্তি দাশ, উত্তম কুমার দে, মিন্টু দেবনাথ, নেপাল শীল, কমলেন্দু শীল, গোপাল দাশ টিপু, লিপ্টন দেবনাথ, রিপন দাশ, ছোটন চৌধুরী রয়েল, রিপন ঘোষ, রাজু দাশ, রবিন পাল, অভিজিৎ দেবনাথসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে দূর্গাপূজা উপলক্ষে অবিলম্বে ৩ দিনের সরকারী ছুটি ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানানো হয়। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া আগামী ৮ অক্টোবর বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবন অভিমুখে সত্যাগ্রহ পদযাত্রা (লংমার্চ) কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বক্তারা বলেন, সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ সুবিধার বিধান থাকা সত্বেও এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সেই সুযোগ সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দূর্গা পুজা। সারা বছর হিন্দু সম্প্রদায় এই উৎসবের দিকে চেয়ে থাকে। পরিবারের সবাই এই ধর্মীয় উৎসবেই একত্রিত হওয়ার জন্য উন্মূখ থাকে। অথচ শুধুমাত্র পুজার শেষের দিন অর্থাৎ বিজয়া দশমীর দিনে ১ দিন সরকারী ছুটি থাকায় হিন্দু সম্প্রদায় পরিবার পরিজন নিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করার সুযোগ পেয়ে থাকে। উক্ত কারণে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সবসময় সরকারের কাছে দূর্গা পুজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি দাবী করেছে। একই সঙ্গে গত কয়েক বছর ধর বিভিন্ন অজুহাতে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চলে আসছে। হিন্দু সম্প্রদায় এখনো আতঙ্কগ্রস্থ। আর এ কারনেই সমাবেশ থেকে আসন্ন দূর্গাপূজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজায় ৩ দিনের ছুটির দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি