
চট্টবাংলা। জাতীয় ডেস্ক -ঃ
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দুর্যোগের মধ্যে আশা জাগানিয়া সংবাদ পরিবেশন করে মানুষকে জীবন সংগ্রামে টিকিয়ে রাখার মনোবল যোগাতে সংবাদপত্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০এপ্রিল) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আশাই মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়, আশাই মানুষকে জীবন সংগ্রামে টিকিয়ে রাখে। সেজন্যই আমি সেই সংবাদগুলো প্রকাশের অনুরোধ জানাবো, যে সংবাদগুলো মানুষের মাঝে আশা জাগাবে; মানুষকে জানাবে যে, আগামীতে সমস্ত অন্ধকার কেটে গিয়ে সুদিন আসবে”।
এসময় তথ্যসচিব কামরুন নাহার ছাড়াও নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ এবং এসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম, তারিক সুজাত, শাহ হোসেন ইমাম, নঈম নিজাম, আলতামাশ কবির মিশু ও সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদপত্র মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা চেষ্টা করবেন যাতে করে ইতিবাচক সংবাদগুলো বেশি করে আসে। এই সময়ে ইতিবাচক সংবাদগুলো খুব জরুরি, কারণ হতাশাগ্রস্ত, শঙ্কিত মানুষেরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত।
তিনি আরো বলেন,এই সময়ে মানুষকে আশাবাদী করে তোলা আমাদের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও অনেক সময় নেতিবাচক সংবাদ আসে, যেগুলো অনেক সময়ই বাস্তব চিত্রের পরিস্ফুটন নয়। আমি দেখেছি যে গতকাল বিদেশি গণমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ এসেছে, যেটি এখানে অনেক পত্রিকায়ই ছাপা হয় নাই। এ জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই”।
‘সংবাদপত্র ও সরকার, আমরা আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবো এবং যেহেতু আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সুতরাং সেই লক্ষ্যেই আমরা সবাই একযোগে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
নোয়াব সভাপতি একে আজাদ তাঁর বক্তব্যে সরকারি ক্রোড়পত্রসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল যাতে সংবাদপত্রগুলো দ্রুত পেতে পারে সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরো জোরালো ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধ করেন। একই সাথে সংবাদপত্রের জন্য ব্যাংক ঋণ সুবিধা ও সংবাদপত্রের হকার, পরিবহন শ্রমিক ও এজেন্টদের জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিষয়গুলো সুবিবেচনার দাবি জানান।
এর প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সংবাদপত্রের যে বকেয়াগুলো আছে, সেগুলো পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ থেকে চিঠি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে সব মন্ত্রণালয় সংবাদপত্রের বকেয়া পরিশোধ করে। সেটির প্রেক্ষিতে আমরা আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটা তাগিদপত্র সব মন্ত্রণালয়ে দেব’।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আপনারা যে সংবাদপত্র পরিচালনা করার জন্য যে ঋণের কথা বলেছেন, সে বিষয়েও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কথা বলবো। যেহেতু সংবাদপত্র আমার দৃষ্টিতে একটি সার্ভিস সেক্টর। আপনারা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিল্প হিসেবেও আপনারা কিছু সুবিধা পান, পাশাপাশি সার্ভিস সেক্টর হিসেবেও আমি মনে করি এখানে সুযোগ রয়েছে’।
তথ্য ও ছবি কৃতজ্ঞতা-ঃ পিআইডি।
