নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে চট্টেশ্বরী সড়কে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাঁচ যুবকের উপর নৃশংস হামলা চালায় কিশোর গ্যাং। সে হামলায় একজনের পা ভেঙে পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়েছে। বাকীদের কারো হাত, কারো পায়ের হাড় ভেঙে যায়। হামলার সিসি টিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়, প্রচার হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমেও। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জিকু দেবনাথের মা অঞ্জনা রাণী বাদী হয়ে রাজুকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চকবাজার থানায়। কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন রাজু, পরে হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান তিনি। জামিনের মেয়াদ শেষে রাজুসহ পাঁচ আসামী বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক প্রধান অভিযুক্ত রাজুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন, বাকী চার আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন।
চকবাজারের স্থানীয়রা জানান, রাজু স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যখন তখন হামলা ভাংচুর, সংঘাত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্যাংটি। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘বদ্দা গ্যাং’ নামে পরিচিত। রাজুর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা হল সাইফুল ইসলাম, শাকিল ও রাব্বি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজুর বিরুদ্ধে অন্তত ছয়টি মামলা হয়েছে বিভিন্ন সময়। চকবাজার ও চমেক হাসপাতাল কেন্দ্রিক ত্রাস ছড়িয়ে চাঁদাবাজি ও নানা অপরাধ চক্রের অন্যতম হোতা। রাজু নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিলেও, তার বড় ভাই আরিফুল ইসলাম ছাত্রদলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা এবং সর্বশেষ কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত দু’টি নাশকতা মামলার এজাহারনামীয় আসামী।