সর্বোচ্চ মাত্র ৫ মিনিট অপেক্ষা – ১৩টি পরিবারের স্বপ্ন উচ্ছেদ
জুনায়েদ হোসেন (প্রতিনিধি)
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের ভয়াবহ সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার বড়তাকিয়া রেল স্টেশনে মহানগর প্রভাতি ট্রেনের সঙ্গে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১৩টি পরিবারের সমস্ত স্বপ্ন উচ্ছেদ হয়ে গেল নিমেষেই। ১৩ জন একসঙ্গে আত্মহত্যার রেকর্ড গড়লেন আজ।
মাইক্রোবাসে করে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিলেন ১৪ বন্ধু। ঝর্ণায় ঘুরলেন, মজা করলেন, ছবি তুললেন। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুরলেন, ফূর্তি করলেন।
ফেরার পথে দেখলেন ট্রেন আসার জন্য রেল ক্রসিংয়ে বাঁশের বেষ্টনী ফেলেছে গেটম্যান। মাত্র ৫ মিনিটের অপেক্ষা। ট্রেনটি চলে যাবে ততোক্ষণে। সারাদিন ঘুরতে পারলেন ফূর্তি করতে পারলেন। কিন্তু এই ৫ মিনিটের অপেক্ষা সইলো না তাদের। গেটম্যানের তীব্র আপত্তি। তা সত্ত্বেও মাইক্রোবাস চালক আর যাত্রীরা একসঙ্গে মাইক্রোবাস থেকে নেমে গেট বারটি জোর করে তুলে উঁচিয়ে ধরে মাইক্রোবাসে উঠেই মাইক্রোবাস টান দিলো। আর তখনই ঢাকা থেকে আসা মহানগর প্রভাতীর সজোরে ধাক্কা।
মাইক্রোবাসটিকে প্রায় ১ কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে অবশেষে থামলো ট্রেন। এক নিমিষেই ধূলিসাৎ হয়ে গেল সব, ১৫টি দেহই ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে রইলো বিধ্বস্ত মাইক্রোবাসে। ১১ জন স্পট ডেড। দু’জন হাসপাতালে মারা গেলেন, আর বাকি দু’জন ও মৃত্যুর মুখে পতিত।
যেখানে বাংলাদেশের বহু রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান তো দূরের কথা গেটই থাকেনা সেখানে এই ঘটনায় গেটম্যান সময় মতো গেট ফেললো, গেটম্যানের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও জোর করে গেটবার তুললো। ১৩জন একসঙ্গে আত্মহত্যার রেকর্ড গড়লো। সর্বোচ্চ মাত্র ৫ মিনিট অপেক্ষা