মঙ্গলবার , সেপ্টেম্বর ১০ ২০২৪
শিরোনাম
Home / চট্টগ্রাম / আকবরশাহ’র অস্ত্রধারী পলাতক আসামী নুর আলম গ্রেফতার, অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার

আকবরশাহ’র অস্ত্রধারী পলাতক আসামী নুর আলম গ্রেফতার, অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার

অনিন্দ্য নয়ন।জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।চট্টবাংলা ডট কমঃ আকবরশাহ থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, সাজা পরোয়ানাভুক্ত ও অসংখ্য মামলার আসামী মোঃ নুর আলম প্রকাশ নুরু (৩৭) কে গ্রেফতার করেছে আকবরশাহ থানা ও ডিবি ( পশ্চিম) বিভাগের যৌথ টিম।

শুক্রবার ৮ জানুয়ারি আকবরশাহ থানা ও ডিবি ( পশ্চিম) বিভাগের যৌথ টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং অনুসন্ধানের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন শান্তিরহাট এলাকা হতে নুরুকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার সহযোগী কাউছার(৩০)কে ও গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার পরবর্তী শনিবার ৯ জানুয়ারি মধ্য রাতে আকবরশাহ থানাধীন গাউছিয়া লেকসিটি পাহাড়ের পাশে নাছিয়াঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুর আস্তানা থেকে তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে মাটির নিচে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ১ টি ওয়ান শুটারগান, ১ টি রিভালবার, ২ টি ধারালো কিরিছ, ১ টি ধারালো রাম দা,৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

মোঃ নুর আলম জন্ম হতে নাছিয়া ঘোনা ১নং ঝিল এলাকায় বেড়ে উঠে। কনকর্ড গ্রুপের ফয়ে’স লেকের একজন কর্মচারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে সে। সেখান থেকেই পাহাড় শুরু হয় তার পাহাড়ে বসবাস।

বিভিন্ন ছোট ধরনের অপরাধ ও চুরি করে পাহাড় কাটার মাধ্যমে তার অপরাধের শুরু হয়।

পরবর্তীতে নাছিয়াঘোনার পাহাড়ী এলাকায় একক নিয়ন্ত্রণ বিস্তার করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী তৈরী করে সে। তার বাহিনীতে প্রায় ৫০/৬০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। বাহিনীর লোকজন দিয়ে বিগত প্রায় ১ যুগ থেকে পাহাড়ী এলাকায় পাহাড় দখল, পাহাড়কাটা, পাহাড়ের সেগুনগাছ কাটা, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল সে। পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাস করে, পাহাড় কাটা, অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গায় ঘর নির্মাণ করে প্লট বিক্রি সহ চাঁদাবাজী, ফয়েস’লেক কেন্দ্রিক পাহাড়ে মূল্যবান গাছ কেটে পাচার করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে এবং পাহাড়ের লোকজনকে আটক করে মুক্তিপন আদায় ও করে তার বাহিনী । পাহাড় দখল ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করার সময় এলাকার লোকজনকে ভীতি প্রদর্শনের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে।

পাহাড় দখলের জন্য ভুয়া কবর তৈরী করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অবৈধভাবে ঘর বাড়ি তৈরী করে।

পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে পাহাড়ী এলাকায় গমনাগমনের বিভিন্ন পথে তার নিজস্ব বাহিনীর সদস্য দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর গতিবিধির নিয়মিত সংবাদ সংগ্রহ করতো সে। নিজের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক সশস্ত্র সদস্যদের নিয়োজিত করে নুরু।

২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের উদ্দেশ্যে আকবরশাহ থানা ও ডিবি(পশ্চিম) যৌথ ভাবে পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনী নাছিয়াঘোনা গাউছিয়া লেকসিটি সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় নুরু নিজের ও তার সহযোগীদের নিয়ে অতর্কিতে পুলিশের উপর হামলা চালায়।

উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে নুরু ও তার তার সহযোগীদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে গাউছিয়া লেকসিটি পাহাড়ী এলাকায় একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে নুরুর ১৩ জন সহযোগীকে অস্ত্রশস্ত্র ও মাদক সহ গ্রেফতার করা হলেও নুরু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এটি পড়ে দেখতে পারেন

ইমন সাংস্কৃতিক একাডেমির ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন 

  অভি পাল (প্রতিনিধ) পাহাড়তলী থানার অন্তর্গত দক্ষিণ কাট্টলীতে রতন কুমার দেবনাথ এর নেতৃত্বে ইমন …