চট্টবাংলা। হাটহাজারী প্রতিনিধি-ঃ
বিশ্বব্যাপী করোনা চিকিৎসা নিয়ে যখন হিমশিম পরিস্থিতি ঠিক তখনই ” হাটহাজারীতেই আবিস্কার হল ওষুধ”। ফেসবুকে নিজের ঔষুধ আবিষ্কারের এমন প্রচারণা চালাচ্ছিলেন হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরী হাটের মনসুর আলী। খবর পেয়ে এই ওষুধ ‘কিনতে’ হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন। রুহুল আমিনের হাতে মনসুর তুলে দেন পৃথিবীজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা করোনাভাইরাস প্রতিরোধের বহুল প্রতীক্ষিত ওষুধ!
মনসুরের প্রতারণা টের সঙ্গে সঙ্গেই আটক করা হয় তাকে। করোনাভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কারের নামে প্রতারণার দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। সোমবার (৩০ মার্চ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহল আমিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বিক্রির খবর শোনা যাচ্ছিল। এক শ্রেণির প্রতারকের কাছ থেকে ওষুধ কিনে প্রতারিত হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। চৌধুরী হাটের ইন্টার্ন শপিং সেন্টারের পাশে জালিয়া পাড়া এলাকার মনসুর আলী নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে এই ওষুধ আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়।’
রুহুল আমিন আরও বলেন, ‘সোমবার আমরা ছদ্মবেশে তার কাছ থেকে ওষুধ কিনতে যাই। তিনি তিনশ টাকায় ১২০ দিন সেবনের পরামর্শ দিয়ে আমাকে দুই বোতল ওষুধ দেন। বোতলের লেভেল দেখে বুঝলাম এগুলো কাশির সিরাপ। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়’।