প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ৮, ২০২৫, ৫:১৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০, ১:৪৩ অপরাহ্ণ

মানস চক্রবর্তী। চট্টবাংলা প্রতিনিধি-ঃ
একদিকে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে (কোভিট-১৯) সংক্রমণের সংখ্যা। অন্যদিকে শুরু হয়েছে মাহে রমজান। দূ'ইয়ে মিলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা আর ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য থামাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। কোন ভাবেই আর যেন কাউকে মানানো যাচ্ছেনা সরকারি নির্দেশনা।
নগরীর যখন এমন পরিস্থিতি তখনই ব্যবসায়ীদের এই অরাজকতার লাগাম টানতে মাঠে নামে চট্টগ্রাম জেলাপ্রশাসকের নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট টিম। চলতি রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করার লক্ষ্যে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাজ করছেন তাঁরা।
গত ২৫ এপ্রিল রোজা শুরু হওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে চলছে এ মনিটরিং কার্যক্রম। আজ বৃহস্পতিবারেও (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ৭টি টিমে ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম মহানগরজুড়ে পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলাপ্রশাসক সূত্র জানা যায়,
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিক-উর-রহমান চকবাজার, বাকলিয়া,সদরঘাট এবং কোতোয়ালি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার দায়ে ও ভোগ্যপণ্যে মূল্য তালিকার চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয়ের অপরাধে দন্ডবিধি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় বিভিন্ন দোকানে মামলা দায়ের করেন। তিনি ৩টি মামলায় এক হাজার সাতশত পঞ্চাশ টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় অননুমোদিতভাবে দোকান খোলা রাখায় সুমন Best Buy কে ১০,০০০ (ইপিজেড ),পান্জাবি টেইলার্স এন্ড ফেব্রিকসকে ৫০০(পতেঙ্গা), মোঃ মাসুদ, সাব কন্ট্রাক্টরকে বেআইনিভাবে নির্মাণ কাজ চলমান রাখার জন্য ২,০০০ (পশ্চিম মুসলিমাবাদ,পতেঙ্গা) টাকা জরিমানা করেন। তিনি ৩ টি মামলায় ১২,৫০০(বার হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৯টি মামালায় ৮,৩০০(আট হাজার তিনশত) টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া তিনি মহানগরীর বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা থানায় করোনা ভাইরাসজনিত প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সিএমপি পুলিশের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খালা রাখায় বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা থানার বিভিন্ন জায়গায় ১টি সেলুনকে ৫০০ (পাঁচশত টাকা), ৪টি কাপড়ের দোকানকে মোট ২০০০ (দুই হাজার টাকা), ১টি কম্পিউটার এক্সেসরিজের দোকানকে ৫০০ (পাঁচশত টাকা) ও ১টি লন্ড্রি দোকানকে ৩০০ (তিনশত টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে ইপিজেড থানাধীন চৌধুরী হাট কাঁচা বাজারের জিলানী স্টোরকে ৩০০০ (তিন হাজার টাকা) ও ইউসুফ চৌধুরী কাঁচা বাজারের মেসার্স নিহাদ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ২০০০ (দুই হাজার টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া বাজারসহ অন্যান্য স্থান যেখানে লোক সমাগম সাধারণত বেশী সেসব স্থান মনিটরিং ও মাইকিং করে জনসাধারণকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ব্যাপারে সচেতন করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম যৌথ ভাবে অভিযান চালায় হালিশহর, পাহাড়তলি, ডবলমুরিং, আকবরশাহ এলাকায়। এসময় তারা ব্যবসায়ী ও পাহাড়তলি বনিক সমিতির সাথে বিশেষ আলোচনা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার বিষয়ে সচেতন করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. আলমগীর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫টি ভিন্ন ভিন্ন মামলায় ১১,৩০০(এগার হাজার তিনশত) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিন চকবাজার, বাকলিয়া, সদরঘাট, ও কোতোয়ালী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ টি মামলায় ৩০০০(তিন হাজার) টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন বায়েজিদ,খুলশি,পাঁচলাইশ ও চাঁন্দগাও এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ টি মামলায় ৭,০০০ (সাত হাজার ) টাকা জরিমানা করেন।
পুরো রমযান মাস জুড়ে বাজার মনিটরিং ও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কালীন সময়ে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রয়োগে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
Chief Adviser : Prof. Partha Sarathi Chowdhury. Chairman : Manas Chakroborty. Head Office: 40 Momin Road, Chittagong. Editorial Office: Farid Bhaban (2nd floor), in front of Hajera Taju Degree College, Chandgaon, Chittagong. News Desk : Email : chattobanglanews@gmail.com, Hello : 019-2360 2360
Copyright © 2025 চট্টবাংলা. All rights reserved.