মহিন আহম্মেদ চৌধুরী। চট্টবাংলা প্রতিনিধি-ঃ
করোনা মোকাবেলা ঠেকাতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ পার হয়েছে মাস। জীবনের ঝুকি থেকে জীবনের দাবি যখন বড় হয়ে ওঠে, তখন করোনার ঝুঁকি ছাপিয়ে চাকরিটা বাঁচাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লকডাউন উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ফিরেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
করোনা মোকাবিলায় দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যেও আজ রোববার চট্টগ্রামের তিনটি ইপিজেডের ১১০টি গার্মেন্টস ও রফতানিমুখী অন্যান্য শিল্প কারখানা চালু রেখেছেন মালিকরা। এসব কারখানায় প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করেছেন বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এসব কারখানার বেশিরভাগ শ্রমিকই গতকাল পায়ে হেঁটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামে এসেছেন। এসব কারখানার মালিকরা বলছেন, কিছু বিদেশি ক্রেতাদের কার্যাদেশ ধরে রাখতেই কারখানা চালু করেছেন তারা।
রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্টগ্রামের তিনটি ইপিজেড এবং নাসিরাবাদ, কালুরঘাট এলাকায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএর শতভাগ রফতানিমুখী কারখানার মধ্যে যাদের অর্ডার আছে সেগুলো সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে।
সিইপিজেডের দায়িত্বে থাকা বেপজার মহাব্যবস্থাপক খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে রফতানি আদেশ আছে এমন কারখানা সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে। সিইপিজেডের অর্ধশতাধিক কারখানায় এ প্রক্রিয়ায় কাজ শুরু হয়েছে।
এখানে মোট কারখানা রয়েছে ১৫৮টি। কিছু কারখানা ১৫-৪৫ দিনের লে অফের আবেদন করেছিলো। পাশের কর্ণফুলী ইপিজেডে কারখানা রয়েছে ৪১টি। এ ছাড়া কর্ণফুলী থানাধীন কোরিয়ান ইপিজেডে ইয়াংওয়ান গ্রুপের অনেক কারখানা রয়েছে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, কারখানার আশপাশে হাঁটা দূরত্বে বাসা আছে এমন শ্রমিকদের দিয়ে রফতানি অর্ডারের বাকি কাজ সম্পন্ন করতে অর্ধশত কারখানায় কাজ চলছে।