প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ৯:১৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ
বান্দরবান স্বর্ণজাদির প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ উপঞঞা জোত মহাথের’র (উচলা ভান্তে) মহাপ্রয়াণ

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের গোল্ডেন প্যাগোডার প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক জর্জ, বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় গুরু শ্রীমৎ উপঞঞা জোত থের ( উচলা ভান্তে) প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১০ এপ্রিল ( শুক্রবার) সকাল থেকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালের অাইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়- ভান্তে Cardiac Alvf নিয়ে ভর্তি হলেও Cardiac Arrest অবস্থায় ঐদিন দুপুরে উনাকে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় কখনো তিনি মারা গেছেন, কখনো মারা যায়নি খবরে তোলপাড় হয় সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমসহ কিছু কিছু মিডিয়ায়।
অবশেষে আজ ১৩ এপ্রিল (সোমবার) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর কথা আনুষ্টানিকভাবে ঘোষণা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাঁর চিকিৎসক ও পরিবারসহ একাধিক মাধ্যম। আজ দুপুর ১.৩০ মিনিটে চট্টগ্রামস্থ ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৫ বছর বয়সে তিনি মহাপ্রয়াণ লাভ করেন।
উ চ হ্লা ভান্তে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রাজ পরিবারে ১৯৫৫ সালের ২২ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (১৯৮১) ও এলএলএম (১৯৮২) ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জর্জ হিসেবে যোগদান করেন। ১২ বছর এই পেশায় থাকার পর ১৯৯৫ সালে তিনি প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন। পরে উপসম্পদা নেন।
তিনি দি ওয়ার্ল্ড বুদ্ধ শাসন সেবক সংঘের প্রতিষ্টাতা এবং শোয়েয়াংগ্য গইং বাংলাদেশ এর সর্বোচ্চ গুরু। এছাড়া মহাপ্রয়াণের আগ পর্যন্ত নিজের হাতে গড়া খিয়ং ওয়া কিয়ং রাজবিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ উ পঞ্ঞা জোত মহাথের (গুরুভন্তে) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গুরুভান্তের মহাপ্রয়ানে চট্টবাংলা পরিবার গভীর শোকাহত। আমরা তাঁর পরলৌকিক সদগতি কামনা ও পরম পূজনীয় গুরুভন্তের নির্বাণ সুখ প্রাপ্তীর প্রার্থনা করছি।
ছবির কৃতজ্ঞতা-ঃ আলোকচিত্রী কমল দাশ
Chief Adviser : Prof. Partha Sarathi Chowdhury. Chairman : Manas Chakroborty. Head Office: 40 Momin Road, Chittagong. Editorial Office: Farid Bhaban (2nd floor), in front of Hajera Taju Degree College, Chandgaon, Chittagong. News Desk : Email : chattobanglanews@gmail.com, Hello : 019-2360 2360
Copyright © 2025 চট্টবাংলা. All rights reserved.