অভি পাল(প্রতিনিধি)
তানভীর মোস্তফা চৌধুরী একজন তরুণ প্রজন্মের ব্যবসায়ীক উদ্যেক্তা, তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড এর উদ্যোক্তা এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিঃ এর পরিচালক, স্ট্যান্ডার্ড ফ্লিটস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইলেক্ট্রটেব এর স্বত্তাধিকারী, তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সফল সাবকে পরিচালক । তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব কামাল মোস্তফা চৌধুরী সুযোগ্য সন্তান। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী গুনাগরী গ্রামের কাজমি চৌধুরীর বাড়ির সন্তান জনাব তানভীর শৈশবকাল থেকে বাঁশখালীর সাথে তার আত্মার সম্পর্ক। তিনি বাঁশখালীর উন্নয়ন নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা জানান,
তিনি জানান বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগরী প্রধান সমুদ্র বন্দর এমনিতেই চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভয়ারণ্য দেশ-বিদেশে প্রশংসিত। সেই চট্টগ্রামের সাঙ্গু নদীর তীর ঘেষে পর্যটন জেলা কক্সবাজার এর উত্তর সীমান্তে অত্যন্ত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের শান্ত, সবুজ, শ্যামল, পাহাড়ী বালুমাটি ও সমুদ্রের কাদামাটির মিলন ক্ষেত্র একসময়ের অবহেলিত থানা। কালের বিবর্তনে, সময়ের প্রয়োজনে বিশ^ায়নের যুগে এটি আর অবহেলিত নয় বরং প্রয়োজনীয় উপজেলা।
বিশেষ করে বাঁশখালীর পর্যটন শিল্প, শিক্ষা, ক্রীড়া, তরুন প্রজন্ম, বেকার সমস্যা দূরীকরণ, অর্থনৈতিক অঞ্চল, লবণ শিল্প, নৌকা শিল্প, শুটকি মাছ প্রস্তুতকারী অঞ্চল নিয়ে কাজ করার কথা জানান।
তিনি বলেন, বাঁশখালী একটি উপকূলীয় এলাকা, বাঁশখালীর সম্পূর্ন পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে পুরাটায় সমুদ্র উপকূল। উপকূলীয় এলাকায় অনেক সৈকত স্পট রয়েছে। সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, বাঁশখালীতে এশিয়ার বিখ্যাত শতবর্ষী পুকুরিয়া বেলগাঁও চা বাগান রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বনায়ন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের ভান্ডার এসবই পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন। বাঁশখালীর পূর্ব প্রান্ত জুড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে ছোট-বড় পর্বতসারি, বামের ছড়া ও ডানের ছড়া বাধ দিয়ে সৃষ্ট প্রাকৃতিক হৃদ বেষ্টিত “বাঁশখালী ইকোপার্ক” এর আর্ন্তজাতিক মানের করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
বাঁশখালীর লবণ শিল্প প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি বিশাল এলাকায় ভরপুর, দেশের লবণের চাহিদা সিংহভাগ যোগান দেয় এখান থেকে। লবণ চাষিদের আধুনিকায়ন করা, লবণ পরিবহনে খাল সম্প্রসারণ, লবণ চাষিদের অর্থনৈতিক চাহিদা যোগান দেওয়াসহ এই বিষয়ে কাজ করা গেলে দেশে লবণের ঘাটতি হবে না বলে তিনি মনে করেন ।
প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে প্রতি বছর বাঁশখালীতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পুরো উপকূল জুড়ে সম্পূর্ণ টেকসহ বেড়িবাঁধ কাম মেরিন ড্রাইভ রোড় করলে চট্টগ্রাম দক্ষিনাঞ্চল ও কক্সবাজার জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুফল পাবে। সম্প্রতি বাঁশখালীতে দেশের বৃহৎ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বাঁশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে এই অঞ্চলের দেশে বৃহৎ গভীর সমুদ্র বন্দর মাতারবাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় এবং বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রাম শহরের দূরত্ব কম হওয়ায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের পণ্য পরিবহনে অনেক সুবিধা হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের সংযোগ সড়ক বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার সংযুক্ত হলে দূরত্ব কমবে এবং গভীর সমুদ্র বন্দরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প, নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান, নতুন নৌ-বন্দর এই অঞ্চলে গড়ে তোলা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
বাঁশখালীতে শিক্ষার প্রসার নিয়ে তাঁর আগ্রহ রয়েছে। বাঁশখালী শিক্ষা ব্যবস্থাও তিনি আর্ন্তজাতিক মানে নিয়ে যেতে চান। যাতে বাঁশখালীর ছেলে মেয়েরা দেশে ও বিদেশে যেকোনো জায়গায় স্থান তৈরি করে নিতে পারে। তাঁর পরিবার থেকে ও তাঁদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর বাঁশখালীর বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসায় গরীব ও মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে আসছে। শীতকালে শীতবস্ত্র প্রদানসহ নানা দূর্যোগে বিভিন্ন রকম সাহায্য সহযোগীতা করে আসছেন।
তিনি বাঁশখালীর তরুণদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন। তিনি মনে করেন তরুণদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক উদ্দ্যোগ গ্রহণ, সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে গেলে পাশাপাশি তরুণদের বিভিন্ন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সফল উদ্যোক্তা হিেেসবে গড়ে তোলা হলে বেকারত্ব দূরীকরণ করা সম্ভব বলে মনে করেন।
উল্লেখিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার জন্য রাজনৈতিক যোগ্য নেতৃত্বের দরকার বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, বাঁশখালীতে কাজ করার উন্নয়নে সহযোগীতা করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো যদি দক্ষ ও তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন মনে করেন তিনি কাজ করতে আগ্রহী।
অত্যন্ত মধোবী জনাব তানভীর মোস্তফা চৌধুরী ইংরেজী কারিকুলামে মিলিটারী কলেজিয়েট স্কুল খুলনা (গঈঝক) থেকে সাইন্সে প্রথম বিভাগে এসএসসি, রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে সাইন্সে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ইউনিভার্সির্টি অব লন্ডন থেকে ডিপ্লোমা ইন ল্, ইউনিভার্সিটি অব নর্দামব্রিয়া নিউক্যাসল যুক্তরাজ্য থেকে এলএলবি এবং বিশ^ বিখ্যাত “প্রেসিডেনশিয়াল ইউনিভার্সিটি” নামে খ্যাত সিটি ইউনিভার্সিটি লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেজ ল্-তে পিজিডি শেষ করে বাংলাদেশে ব্যবাসায়ে নিয়োজিত আছেন। তিনি আমদানি-রপ্তানি ও শিপিং ব্যবসায়ে কর্মজীবন শুরু করেন।
Chief Adviser : Prof. Partha Sarathi Chowdhury. Chairman : Manas Chakroborty. Head Office: 40 Momin Road, Chittagong. Editorial Office: Farid Bhaban (2nd floor), in front of Hajera Taju Degree College, Chandgaon, Chittagong. News Desk : Email : [email protected], Hello : 019-2360 2360
Copyright © 2025 চট্টবাংলা. All rights reserved.