ডেস্ক নিউজ
বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। পদ্মা সেতুর মতোই আরেকটি স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। স্বপ্নটি এখন অনেকটাই বাস্তব। বন্দরনগরীর পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তীরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত কর্ণফুলী টানেল। এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কোনো টানেল।
২০১৬ সালে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এটি চালু হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্পায়ন, আবাসন, পর্যটন শিল্পের নতুন দুয়ার খুলবে।চীনের সাংহাইয়ের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন মডেল গড়ার লক্ষ্যে টানেলটির মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো টানেল যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে ৮৬ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। চলছে বাকি ১৪ শতাংশ কাজ শেষের পালা। কাজ শেষ হলেই আগামী ডিসেম্বরে চালুর তোড়জোড়
এখন লক্ষ্য নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ডিসেম্বরের আগেই দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণ কাজ শেষ করা। সবমিলিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পর এখন বাংলাদেশের অপেক্ষা টানেল যুগে প্রবেশের। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদীর তলদেশে দুটি সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। এই সুড়ঙ্গ দিয়ে গাড়ি চলাচলের যেই পথ তারও কাজ শেষের দিকে। এখন মূল চ্যালেঞ্জ কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এক সুড়ঙ্গ থেকে আরেকটি সুড়ঙ্গে যাওয়ার পথ তৈরি করা। আর এই কাজটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। এছাড়া সমানতালে চলছে অগ্নি নিরাপত্তামূলক ফায়ার প্লেট এবং ডেকোরেশন প্লেট বসানো।
পতেঙ্গায় সাগড়পাড়ে গেলেই টের পাওয়া যাচ্ছে এমন নির্মাণযজ্ঞের উত্তাপ। ২২৫ জন চীনা প্রকৌশলী এবং শ্রমিকের পাশাপাশি দেশীয় হাজারেরও বেশি শ্রমিক ও প্রকৌশলী দিন-রাত এক করে কাজ করছেন।উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এবং চীনের যৌথ অর্থায়নে প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি।
Chief Adviser : Prof. Partha Sarathi Chowdhury. Chairman : Manas Chakroborty. Head Office: 40 Momin Road, Chittagong. Editorial Office: Farid Bhaban (2nd floor), in front of Hajera Taju Degree College, Chandgaon, Chittagong. News Desk : Email : chattobanglanews@gmail.com, Hello : 019-2360 2360
Copyright © 2025 চট্টবাংলা. All rights reserved.