নিজস্ব প্রতিবেদক। চট্টবাংলা ডট কম-ঃ
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে শহরতলী বোয়ালখালীবাসির। বোয়ালখালীবাসির দুুঃখ কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের সকল জটিলতা নিরসন করে নির্মাণ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ নির্মাণ স্থান পরিদর্শন করে গেল রেলমন্ত্রী নুুুরুল ইসলাম সুুুজন।
নতুন বছরের শুরুতেই কর্ণফুলি নদীর কালুরঘাট অংশে আরম্ভ হবে দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক স্থাপনার অপূর্ব সমন্বয়ে রেল কাম সেতু নির্মাণ কাজ। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রামবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নতুন বছরের উপহার হিসেবে থাকছে এ সেতু। ফলে অনেকদিনের কাংখিত এই সেতু স্থাপনের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে দাবী করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম সুজন।
আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল ও সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শন শেষে সেতুর বোয়ালখালী প্রান্তে আয়োজিত পথসভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
রেলমন্ত্রী আরো বলেন, সেতুটি আগেই নির্মাণ করা যেত। ভুল বোঝাবোঝির কারনে সেতু নির্মাণে দেরি হয়েছে। এখন সড়ক কাম রেল সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট অনুশাসন পাওয়া গেছে। ফলে সেতু নির্মাণে সকল মতভিন্নতা দুর হয়েছে। কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) এর সাথে অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা করে সব কিছু ঠিক করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সেতু নির্মাণের নকশা চুড়ান্ত করা হয়েছে, স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি রেল সংযোগ স্থাপনের জন্য এ সেতু অতীব জরুরী। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন চালু হয়ে যাবে। এজন্য ঐ সময়সীমার মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজও শেষ করা হবে। তিনি বলেন, রেল সংযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার এ চার দেশের মধ্যে আন্ত:সড়ক সংযোগ সৃষ্টি করে এ সেতু যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উম্মোচন করবে।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, রেলওয়ের মহা-পরিচালক শামসুজ্জামান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রণব কুমার ঘোষ, রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের জি এম, প্রধান প্রকৌশলী, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
পরে নতুন সেতুর নকশা নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জানানো হয়, বর্তমান সেতুটির ৮০ মিটার উত্তরে ৯টি পিলার বা স্প্যান দিয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতুটিতে নৌযান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চতা রাখা হবে। ফলে জাহাজ চলাচলে সুবিধা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন সেতুটি নির্মিত হলে নিরবচ্ছিন্ন রেল পরিবহন সেবা নিশ্চিত করা যাবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের অপারেশনাল প্রতিবন্ধকা দুর হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য বৃহত্তর করিডোর তৈরি হবে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের যানজট হ্রাস পাবে। আঞ্চলিক বিনিময় সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে। সর্বোপরি স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনমান আরো উন্নত হবে
Chief Adviser : Prof. Partha Sarathi Chowdhury. Chairman : Manas Chakroborty. Head Office: 40 Momin Road, Chittagong. Editorial Office: Farid Bhaban (2nd floor), in front of Hajera Taju Degree College, Chandgaon, Chittagong. News Desk : Email : chattobanglanews@gmail.com, Hello : 019-2360 2360
Copyright © 2025 চট্টবাংলা. All rights reserved.